যুদ্ধাপরাধ : গাইবান্ধার ৫ জনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

যুদ্ধাপরাধের মামলায় গাইবান্ধার নান্দিনার পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2016, 01:20 PM
Updated : 29 May 2016, 01:20 PM

যাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির আদেশ হয়েছে তারা হলেন- আব্দুল জাব্বার মণ্ডল, মো. জাফিজার রহমান, আব্দুল ওয়াহেদ মণ্ডল, মমতাজ আলী ব্যাপারী ও আজগর হোসেন খান।

এ ছাড়া সন্ত্রাস দমন আইনের অন্য মামলায় গ্রেপ্তার অপর এক আসামি চকগয়েষপুরের মো. রঞ্জু মিয়াকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে নির্দেশ দিয়ে ২৭ জুলাই পরবর্তী দিন রেখেছে ট্রাইব্যুনাল।

আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি ও হাজিরা পরোয়ানা জারির নির্দেশনা চেয়ে প্রসিকিউশনের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

প্রসিকিউশনের তথ্য অনুসারে, যুদ্ধাপরাধের মামলায় ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে ২৫ মে চিফ প্রসিকিউটরের দপ্তরে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। পরদিন আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়না জারির নির্দেশনা চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে প্রসিকিউশন, যা রোববার শুনানির জন্য ওঠে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর ঋষিকেশ সাহা।

পরে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছয় আসামিই মুক্তিযুদ্ধের সময়ের রাজাকার বাহিনীর সদস্য। এদের মধ্যে আব্দুল জাব্বার মণ্ডল স্থানীয় শান্তি কমিটির সেক্রেটারি ছিলেন।

তদন্তে আপাতত আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানান ঋষিকেশ সাহা।

তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধকালে নান্দিনা গ্রামে পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে আসামিরা আক্রমণ করে, সেখানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নয়জনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়।

“সেখানকার ৪০/৫০টি বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে আমরা ২৬টি বাড়ির নাম পেয়েছি ও তা উল্লেখ করেছি। দ্বিতীয় অভিযোগটি হচ্ছে নান্দিনাসহ আশপাশের চার-পাঁচটি গ্রাম থেকে সাতজন মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যার।”