শনিবার সকালে জাপানের নাগোয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এই অনুরোধ করেন বলে সন্ধ্যায় টোকিওতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি শ্রীলঙ্কায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টিও উঠে আসে বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান।
তিনি বলেন, “সেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সাহায্য পাঠিয়েছেন। এখনও সাহায্য পাঠাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ১০ কোটি টাকা উনি ছাড় করেছেন।
“তারা একটি চাহিদা দিয়েছেন, তাদের কী লাগবে। তাদের চাহিদা মতো সাহায্য করারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।”
সম্প্রতি ঝড়ো বৃষ্টির কারণে শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন এলাকায় ভূমি ধস ও বন্যা দেখা দেয়। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশটিতে অন্তত ৪৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবর।
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ‘অনেক পুরনো’ সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে দুই নেতা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন বলে প্রেস সচিব জানান।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে ওষুধসহ পাটজাত দ্রব্য আমদানি করতে শ্রীলঙ্কার প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠকে সিরিসেনার বাংলাদেশ সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, আগামী ডিসেম্বরে তিনি ঢাকা আসতে পারেন।
সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রবাসী নাগরিকদের অর্থ নিজ দেশে আনতে শ্রীলঙ্কার নেওয়া উদ্যোগ কাজে লাগানোর বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয় বলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন জানান।
শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী এই বিষয়টি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
এ প্রসঙ্গে মেজবাহউদ্দিন বলেন, “আমাদের সার্ক দেশের যারা বিদেশে কাজ করেন, তারা অনেক বৈদেশিক মুদ্রা পাঠান। সেটা আমাদের মাধ্যমে প্রবাহিত হয় না। শ্রীলঙ্কা একটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চায়। এই ফ্লোটা কীভাবে আমাদের দেশগুলোর মাধ্যমে প্রবাহিত করতে পারে, সেজন্য শ্রীলঙ্কা একটা কনসেপ্ট ডেভেলপ করছে।”
বিষয়টি নিয়ে শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে আলাপ করেছিলেন।
“আমরা বলেছি, আমাদের সাথে শেয়ার করা হলে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোনো কার্যক্রম নেওয়ার থাকলে নেব।”
সাক্ষাতের সময় মুখ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী উপস্থিত ছিলেন।