বৃহস্পতিবার শেরেবাংলানগরে ইসি কার্যালয়ে সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্মূল কমিটির একটি প্রতিনিধি দল এ দাবি জানায়।
যশোরের চৌগাছায় কিছু হিন্দু পরিবার সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার হওয়ার পর ইসির সামনে এই দাবি তোলা হল।
তিনি বলেন, মাঠে ভোটের মূল কাজটি করেন ডিসি, এসপি, ওসি। তাদের পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
“তাদের অতীত কর্মকাণ্ড দেখে, তাদের কাজে সাম্প্রদায়িকতার ইতিহাস থাকলে ভোটের দায়িত্ব থেকে এসব কর্মকর্তাদের বদলি করতে হবে।”
প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংতা প্রতিরোধে ইতোমধ্যে ইসির নেওয়া পদক্ষেপগুলোর কথা বৈঠকে তুলে ধরেন বলে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী জানান।
“সিইসি আমাদের জানিয়েছেন, তারা এ বিষয়ে সচেতন রয়েছেন। ভোটাধিকার নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরপরও যেসব অভিযোগ আসছে, সেগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
সিইসির কাছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির লিখিত আবেদনে সাত দফা দাবি জানানো হয়েছে।
কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, “ইউপি ভোটে সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। এ পর্যন্ত চার ধাপে অন্তত ৮০ জন নিহত এবং পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণের তথ্যও গণমাধ্যমে এসেছে।”
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গত ২০ মে সহিংসতার শিকার শতাধিক ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্যও নিয়েছে বলে জানান তিনি।
“জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা সন্ত্রাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীল, তাদের বদলি করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি দায়বদ্ধদের দায়িত্ব দিতে হবে। জামায়াতিরা যাতে সহিংতা করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারির নির্দেশ দিতে হবে।”
জামায়াতিরা কৌশলে ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়নও নিচ্ছে’ মন্তব্য করে রাজনৈতিক দলগুলোকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান শাহরিয়ার কবির।
অন্যদের মধ্যে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল ও ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী ছিলেন এই প্রতিনিধি দলে।