২০২০ সালের আগেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: কাদের

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে ঢাকার প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ১০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অগাস্টেই এর প্রথম ধাপের অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2016, 11:07 AM
Updated : 10 Feb 2016, 01:12 PM

বুধবার কুড়িল ফ্লাইওভার এলাকায় প্রকল্পের টেস্ট পাইলিংয়ের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল সড়কটি নির্ধারিত সময়ের আগেই হওয়ার আশার কথাও এসময় সাংবাদিকদের জানান তিনি।

তিন ধাপের এই প্রকল্পের প্রথম ধাপের ভূমি অধিগ্রহণও ৮৪টি টেস্ট পাইলিংসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ ইতোমধ্যে শেষে হয়েছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, “তিন ধাপে নির্মাণ সম্পন্নের পরিকল্পনায় থাকা এ সড়কের ১০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২০ সালে পুরো কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ২০১৯ সালের মধ্যেই তা সম্পন্ন করা যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা আমাকে আশা দিয়েছেন।”

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে ইটালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মধ্যে ৩১টি র‌্যাম্প যোগ হলে এর মোট দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ২৭ কিলোমিটার। প্রকল্পের রুট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী।

তিন ধাপের এই প্রকল্পের প্রথম ধাপের দৈর্ঘ্য ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। সেখান থেকে ১৩ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে শেষ হবে দ্বিতীয় ধাপের কাজ। তার ১৩ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দূরে ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দূরত্বে গিয়ে শেষ ধাপের কাজ। 

সেতুমন্ত্রী জানান, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে প্রথম ধাপের ইউটিলিটি লাইন ও স্থাপনা প্রতিস্থাপন শেষ হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে বনানী স্টেশন পর্যন্ত প্রথম ধাপের অংশের ৫০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ শেষে নির্মাণ সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অবশিষ্ট জমি চলতি মাসেই হস্তান্তর করা হবে। আগামী ১৬ অগাস্ট মূল স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

প্রকল্পের অন্যান্য অগ্রগতি

প্রকল্পে ২২০ একর জমি প্রয়োজন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন ২৯ একর জমি রয়েছে। এছাড়া রেলওয়ে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এবং সেনাবাহিনীর অধীনে থাকা বাকি জমি ব্যবহারে অনাপত্তি পাওয়া গেছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অংশে থাকা ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে।

প্রকল্পের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অংশের ইউটিলিটি লাইন স্থাপনে স্থাপনা অপসারণের কাজ জুনের মধ্যে শেষ হবে।

বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সাইট অফিস, স্ট্যাক ইয়ার্ড, কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড নির্মাণে বিমানবন্দর গোলচত্বর থেকে ৮০০ মিটার দক্ষিণে কাওলা এলাকায় ১৫ একর জমি প্রস্তুত করা হয়েছে।

ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন

মন্ত্রী জানান, প্রথম ধাপের অংশে ক্ষতিগ্রস্তদের ঢাকা জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। পুনর্বাসন পরিকল্পনার আওতায় মালামাল অপসারণ, ব্যবসায়িক ক্ষতি ও ভূমি বাবদ হিসাব করে টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে উত্তরা তৃতীয় ফেইজ সংলগ্ন বড়কাকর, দ্বিগুন ও বাউনিয়া মৌজায় ৪০ একর ভূমির উন্নয়ন কাজ চলছে। সেখানে বহুতল ভবন করে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাপার্টমেন্ট দেওয়া হবে।