পুলিশের মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জসিম উদ্দীন মোল্লা (প্রশাসন) জানান, চারজনের মধ্যে দুইজন উপ-পরিদর্শক, একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক ও একজন কনস্টেবল।
এরা হলেন- উপ-পরিদর্শক মোমিনুর রহমান খান এবং নিয়াজ উদ্দিন মোল্লা, সহকারী উপ-পরিদর্শক দেবেন্দ্র নাথ এবং কনস্টেবল জসিম উদ্দিন।
এদিকে ঘটনা তদন্তে পুলিশের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মারুফ হোসেন সরদার।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাসুদ আহমেদ (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এবং সহকারী কমিশনার মাহবুব হোসেনকে নিয়ে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।
“দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।”
এছাড়া মহানগর পুলিশের সদর দপ্তর থেকে উপ-কমিশনার (ডিসিপ্লিন) টুটুল চক্রবর্তীকে ঘটনাটি আলাদাভাবে তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার প্রসঙ্গে মারুফ হোসেন বলেন, “ঘটনার সময় তারা এলাকায় দায়িত্বরত ছিলেন। প্রত্যাহার করে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে তাদের কোনো গাফলতি আছে কি না।”
দগ্ধ চা বিক্রেতা বাবুল মাতুব্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আগুনে তার শরীরে ৯০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল।
বাবুলের পরিবারের অভিযোগ, বুধবার রাত ৯টায় মিরপুর ১ নম্বর গুদারাঘাটে চাঁদা না পেয়ে পুলিশ চা বিক্রেতা বাবুলের কেরোসিনের চুলায় বাড়ি মারে। এতে কেরোসিন ছিটকে বাবুলের গায়ে লাগে এবং আগুন ধরে যায়।
তারা বলছেন, চাঁদা না দেওয়ায় পুলিশ বাবুলের ওপর চড়াও হয়েছিল।
অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে থানা থেকে বলা হয়েছে, পুলিশ নয়, সোর্স দেখে পালাতে গিয়ে বাবুল দগ্ধ হন।
বাবুল নিজেও মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন বলে পুলিশের অভিযোগ।