দগ্ধ চা বিক্রেতা বাবুলকে বাঁচানো গেল না

ঢাকার শাহআলী থানার গুদারাঘাটে ‘পুলিশের লাঠির আঘাতে’ চা দোকানের চুলা থেকে ছিটকে পড়া তেল থেকে আগুন লেগে দগ্ধ চা বিক্রেতা বাবুল মাতুব্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Feb 2016, 08:30 AM
Updated : 4 Feb 2016, 05:49 PM

হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান, বুধবার রাতে হাসপাতালে আনার পর বাবুলকে ‘এসডিইউ’তে রাখা হয়েছিল। তার শরীরের ৯০ ভাগ ঝলসে গিয়েছিল।

বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে বাবুলের (৪৫) মৃত্যু হয় বলে জানান এই চিকিৎসক।

ওই দোকানির স্বজনদের অভিযোগ, চাঁদা না দেওয়ায় পুলিশ বাবুলের ওপর চড়াও হয়েছিল।

অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে থানা থেকে বলা হয়েছে, পুলিশ নয়, সোর্স দেখে পালাতে গিয়ে বাবুল দগ্ধ হন।

ওই চা বিক্রেতা মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন বলেও পুলিশের অভিযোগ।

বুধবার রাতে হাসপাতালে বাবুলের পুত্রবধূ মনি বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মিরপুর ১ নম্বরের গুদারাঘাটে তার শ্বশুরের চায়ের দোকান। পাশেই এক বাসায় তারা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন।

বাবুলের দোকানের কাছেই দুই নারী গাঁজা বিক্রি করেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, “শ্বশুর এ নিয়ে অভিযোগ করতে গেলে পুলিশই উল্টো আমাদের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করত।”

বুধবার দুপুরেও কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে তার শ্বশুরকে শাহআলী থানায় নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।

“তারা রাতে এসেছিল চাঁদা চাইতে। কিন্তু উনি তাতে রাজি না হলে পুলিশের পোশাক পরা কয়েকজন তার স্টোভের চুলায় লাঠি দিয়ে বাড়ি দেয়।”

এ সময় সেখান থেকে তেল ছিটকে বাবুলের জ্যাকেটে লেগে আগুন ধরে যায় জানিয়ে মনি বলেন, “আমি তখন ওইখানে ছিলাম। সব ঘটনা নিজের চোখে দেখছি।”

অন্যদিকে শাহ আলী থানার ওসি একেএম শাহিন মণ্ডল বলেন, “বাবুল মাদক বিক্রেতা। পুলিশের সোর্স দেলোয়ার রাতে তার দোকানের সামনে গেলে বাবুল দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন স্টোভের চুলা থেকে তার শরীরের আগুন লাগে।”

পুলিশের কোনো সদস্য বাবুলের কাছে চাঁদা চাইতে যায়নি দাবি করে তিনি বলেন, “ওইখানে আগুন লেগেছে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল গিয়েছিল।”