দেশের পক্ষে কাজ করুন, প্রথম আলোকে তোফায়েল

দেশের পক্ষে কাজ করতে দৈনিক প্রথম আলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Dec 2015, 12:52 PM
Updated : 21 Dec 2015, 12:52 PM

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের দশম সম্মেলনে শেষে দেশে ফেরার পর সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গতকাল (রোববার) দোহা এয়ারপোর্টে বসে ইন্টারনেটে প্রথম আলোর একটা খবর পড়েছি যে, ৩০ লাখ শ্রমিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। পরে অন্য কয়েকটা পত্রিকাও করেছে।

“হুইচ ইজ টোটালি অ্যা ফলস রিপোর্ট। দিস রিপোর্ট ইজ নাথিং বাট এগেইনস্ট দ্য ইন্টারেস্ট অব আওয়ার গার্মেন্টস ইন্ডাট্রিজ।”

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “যে সংগঠনের নামে তারা রিসার্চ করে বের করেছে, এই রকম সংগঠনের নাম আমরা জীবনেও শুনিনি। অথচ নিউজটা খুব প্রমিন্যান্টলি ছাপা হয়েছে।”

বাংলাদেশের পোশাকশিল্প নিয়ে নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্টার্নস সেন্টার ফর বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, তৈরি পোশাকশিল্পের ঠিকাকাজের কারখানার প্রায় ৩০ লাখ শ্রমিক বিপজ্জনক পরিবেশে কাজ করেন। কর্মপরিবেশ উন্নয়নে কর্মসূচির আওতায় নেই কারখানাগুলো।

প্রতিবেদনটি কোন সময়ে প্রকাশ করা হয়েছে সে প্রশ্ন রেখে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “রানা প্লাজা ধসের পর আমাদের একটা খারাপ ইমেজ সৃষ্টির চেষ্টা হয়। এটাকে নিরসন করে যখন আমরা অগ্রগতির পথে যাচ্ছি।

“আন্তর্জাতিক বিশ্বে আমরা স্বীকৃতি আদায় করতে পেরেছি যে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প এখন কম্প্লায়েন্ট, ঝুঁকিপূর্ণ নয়। যেখানে অ্যালায়েন্স সেই মতেই সনদ দিচ্ছে যে, চার হাজার সাড়ে তিন হাজার শিল্পের মধ্যে ৩২-৩৩টা ঝুঁকিপূর্ণ।”

তিনি বলেন, যেখানে ইউএস এইড, ইউকে এইড সার্ভে করিয়েছে। যে সার্ভে রিপোর্টে শ্রমিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তারা জানতে পেরেছে, ন্যূনতম মজুরি ৭ হাজার টাকার বেশি পায় শ্রমিকরা। যদিও ৫ হাজার ৩০০ টাকা ন্যূনতম মজুরি, ওভার টাইম নিয়ে তারা ৭ হাজারের বেশি পায়।

“যেখানে তারা (শ্রমিকরা) বলছে, তাদের কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নাই। সেই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক বিশ্বে অ্যাকোর্ড-অ্যালায়েন্স আমাদের পক্ষে রিপোর্ট দিয়েছে। সেই মুহূর্তে এই রিপোর্ট।”

তোফায়েল বলেন, “আমরা চাই, আমাদের দেশের গণমাধ্যমগুলো দেশের পক্ষে কাজ করুক। ভালো সংবাদ পরিবেশন না করে, এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন করা সমিচীন না। আমি খুব দুঃখিত। আমার খুব খারাপ লেগেছে, যখন পড়েছি।”

যখন কেউ শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কিছু বলছে না, তখন এই রিপোর্ট- ক্ষোভের সুরে একথা জানিয়ে তিনি বলেন, “যখন ডাব্লিউটিওতে গিয়ে ভালো মর্যাদা নিয়ে আমরা ফিরে আসলাম, সেই মুহূর্তে এই রিপোর্ট। আমার খুব খারাপ লেগেছে।”

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক, ডব্লিউটিও সেল) অমিতাভ চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।