মোবাইল কোর্ট আইনের নয়টি ধারা প্রশ্নে রুল

মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা অর্পণ, মোবাইল কোর্টের ক্ষমতা ও পরিচালনার পদ্ধতিসহ ২০০৯ সালের মোবাইল কোর্ট আইনের নয়টি ধারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাই কোর্ট। 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2015, 12:13 PM
Updated : 26 Nov 2015, 12:13 PM

ওই ধারাগুলো কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এইচ মো. নুরুল হুদা জায়গীরদারের বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার এই রুল দিয়েছে। 
 
আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও র‌্যাবের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের বলা হয়েছে, দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে। 
 
মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর ৫, ৬(১), ৬(২), ৬(৪), ৭, ৮(১), ৯, ১০, ১১, ১৩ ও ১৫ ধারা  সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে পিনাকল সোর্সিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন গত ২২ নভেম্বর রিট আবেদনটি করেন।
 
গত ২৬ অক্টোবর মহাখালীর পিনাকল সোর্সিংয়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। পণ্য উৎপাদনে অনুমোদন না থাকায় ওই কোম্পানির তিন কর্মকর্তাকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।  
 
ওই সাজা চ্যালেঞ্জ করে এই রিট আবেদনটি করা হয়। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়।
 
রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোম্পানির কেউ দোষ স্বীকার না করা সত্ত্বেও তাদের দোষ স্বীকার করিয়ে জরিমানা ও সাজা দেওয়া হয়। এতে বিচারের নামে অবিচার করার যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে কোনো নাগরিকের মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়াসহ বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে জনমনে চরম বিরূপ ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে ওই নয়টি ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়।”
 
রিট আবেদনকারীর যুক্তি মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর ৫, ৬(১), ৬(২), ৬(৪), ৭, ৮(১), ৯, ১০, ১১, ১৩ ও ১৫ ধারা সংবিধানের ২২, ২৭, ৩১ ও ৩৫(৩) অনুচ্ছেদ ও মাসদার হোসেন মামলার রায়ের চেতনার পরিপন্থি। 
 
আইনের ৫ ধারায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা অর্পণ, ৬ ধারায় মোবাইল কোর্টের ক্ষমতা, ৭ ধারায় মোবাইল কোর্টের পরিচালনা পদ্ধতি, ৮ ধারায় দণ্ড আরোপের সীমাবদ্ধতা, ৯ ধারায় অর্থদণ্ড আদায় সম্পর্কিত বিধান, ১০ ধারায় দোবারা বিচার ও শাস্তি নিষেধ, ১১ ধারায় ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ক্ষমতা প্রয়োগ, ১৩ ধারায় আপিল ও ১৫ ধারায় তফসিল সংশোধনের ক্ষমতা বিষয়ে বলা আছে।

  অন্যদিকে সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ, ২৭ অনুচ্ছেদে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, ৩১ অনুচ্ছেদে আইনের আশ্রয়লাভের অধিকার, ৩৫ অনুচ্ছেদে বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ বিষয়ে বলা আছে।