দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বিদায় নিচ্ছে। আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সেই স্থানে উত্তরী বায় এখনও না এলেও বৃষ্টি নিয়ে এসেছে শীত শুরুর আমেজ।
বাংলা পঞ্জিকায় শুক্রবার শুরু হবে কার্তিক মাস, অর্থাৎ হেমন্তকাল। অগ্রহায়ণ পেরিয়ে পৌষ-মাঘ শীতকাল ধরা হলেও হেমন্তেই শীত অনুভূত হওয়া শুরু করে।
আশ্বিনের শেষ দিন বৃহস্পতিবারও রাজধানীসহ বাংলাদেশের অনেক এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে।
দিনভর গরমের পর ভোরের হালকা ঠাণ্ডা হাওয়া টের পাচ্ছেন নগরবাসীও, তাই সকালের রোদ অনেকের কাছেই হয়ে উঠেছে মিষ্টি।
ঢাকার বাসিন্দা তৌহিদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত কয়েকদিন থেকে রাতে শীতের আমেজ টের পাচ্ছি। ভোর রাতের দিকেও গরম কাপড়ও জড়াতে হয়।”
দুদিন আগেই রংপুর ঘুরে এসে আশিক হোসেন বলেন, উত্তরাঞ্চলে দিনভর গরম থাকলেও সন্ধ্যায় কুয়াশা নামে। শেষ রাতে শীতও লাগে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরও বলছে, শীতের আগমন টের পাওয়া যাচ্ছে। তবে রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে নভেম্বরে।
“বৃষ্টির আকস্মিক হানা কেটে গেলেই কয়েকদিন পরে শীতের আমেজও বাড়বে বেশ। পুরোপুরি শীত অনুভূত হবে নভেম্বর মাসের দ্বিতীয়ার্ধের দিকে,” বলেন অধিদপ্তরে কর্তব্যরত পূর্বাভাস কর্মকর্তা।
এই আবহাওয়াকে আগাম শীত বলতে নারাজ তিনি।
অধিদপ্তর জানায়, উত্তর ও উত্তর পশ্চিম অঞ্চল থেকে মৌসুমী বায়ু বিদায় হয়েছে। মধ্যাঞ্চল থেকে সোমবারের মধ্যে বিদায় নেবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। এসময় শুষ্ক আবহাওয়ায় দিনে গরমের পর রাতে শীতালু আবহাওয়া বিরাজ করবে।
“উত্তরী হাওয়া নিয়ে শীত আসবে আগামী মাসে,” বলেন আবহাওয়া কর্মকর্তা।
রংপুরে বৃষ্টি না থাকলেও বুধবার ঢাকা, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, সন্দ্বীপ, কক্সবাজার, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, সিলেট, শ্রীমঙ্গল, পটুয়াখালীতে বৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। অন্য স্থানে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।
দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসের বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শাহ আলম জানান, নভেম্বর মাসে রাতের তাপমাত্রা কমতে থাকবে। ডিসেম্বর মাসের শেষার্ধে উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।