বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে ১২ অক্টোবর প্রকাশিত ‘ত্রিপুরার সড়ক পরিবহন কর্মকর্তাকে ঢাকায় হুমকি’- শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় এই দাবি করেছে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ এই পরিবহন কোম্পানি।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সড়ক পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তাদের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে ওই সংবাদটি প্রকাশ হয়েছিল।
শ্যামলী পরিবহনের বক্তব্য নিতে চেষ্টা চালিয়েও তা না পাওয়ার পরও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রতিক্ষণ তথ্য সংযোজনের সুযোগ থাকায় অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছিল।
ওই প্রতিবেদনটি দেখে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে পাঠানো এক প্রতিবাদে শ্যামলী পরিবহনের মালিক রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানান, টিআরটিসির ওই কর্মকর্তাকে কিছু দুর্বৃত্তের হুমকি ও কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার সঙ্গে তার কোম্পানিকে জড়িয়ে আনা অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত’।
“আমার কোনোভাবেই এই ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নই এবং এ ঘটনার যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটনের দাবি জানাচ্ছি।”
বিষয়টি বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান এবং পরিচালককে (ইঞ্জিনিয়ারিং) জানানো হয়েছে বলেও জানান রমেশ ঘোষ।
টিআরটিসির কর্মকর্তাদের অভিযোগ, তাদের জনসংযোগ কর্মকর্তা এল জে রোখুম ঢাকা হয়ে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা পর্যন্ত ভলভো বাস চলাচলের রুট পারমিট নিতে সম্প্রতি ঢাকায় এসেছিলেন।
বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রুট পারমিট পেলেও কিছু লোক সে সব কাগজপত্র তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়, যারা শ্যামলী পরিবহন সংশ্লিষ্ট বলে ত্রিপুরার কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন।
শ্যামলী পরিবহন ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা, ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা, ঢাকা-শিলিগুড়ি-ঢাকা এবং ঢাকা-শিলং-গোহাটি-ঢাকা রুটে বাস চালিয়ে আসছে।