কিশোরগঞ্জের দুই রাজাকারের বিরুদ্ধে ৬ অভিযোগ

কিশোরগঞ্জের দুই রাজাকার সৈয়দ মো. হুসাইন ও মোসলেম প্রধানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, লুন্ঠন, অপহরণ ও নির্যাতনের ছয়টি অভিযোগ আনা হচ্ছে।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2015, 09:14 AM
Updated : 18 April 2017, 07:01 AM

দুই রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন এরই মধ্যে চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

কয়েকদিনের মধ্যেই এ প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে জমা দেওয়া হবে বলে বুধবার সংস্থার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

ধানমণ্ডিতে তদন্ত সংস্থার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এর সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এম সানাউল হক।

কিশোরগঞ্জের এই রাজাকারের মধ্যে মোসলেম প্রধান গ্রেপ্তার হলেও হুসাইন বর্তমানে মালয়েশিয়ায় রয়েছেন।

হুসাইনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হলেও একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় কিশোরগঞ্জে ছিলেন তিনি। মোসলেম কিশোরগঞ্জের নিকলি থানার বাসিন্দা। দুজনের বিরুদ্ধে নিকলিতে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগ।

হুসাইন আন্তর্জাতিক অপরাধ্য ট্রাইব্যুনাল থেকে মৃ যুদ্ধাপরাধ: কিশোরগঞ্জের দুই ‘রাজাকারের’ রায় বুধবার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক সৈয়দ মো. হাসান ওরফে হাছেন আলীর ছোট ভাই।

হাসান আলীকে গত ৯ জুন ফাঁসিতে অথবা গুলি করে হত্যার মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করার নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল-১।

সানাউল হক বলেন, “দুইজনের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, লুন্ঠন, ধর্ষণ, অপহরণ ও নির্যাতনসহ ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

“মোসলেম প্রধান আটক থকালেও সৈয়দ মো. হুসাইন পলাতক আছেন। তিনি মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে রেড অ্যালার্টও জারি আছে।”

গত বছরের ১৩ নভেম্বর সৈয়দ মো.হুসাইনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়। ওই অভিযোগের তদন্তকালে মোসলেম প্রধানের নাম আসে বলে জানান তিনি।

এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হরি দেবনাথ গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে তদন্তকাজ সম্পন্ন করেন।

এই দুইজনের বিরুদ্ধে মোট ১৬১ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে মোট ৪৩৯ পৃষ্ঠার নথিপত্র রয়েছে। প্রতিবেদনে সাক্ষীর জবানবন্দি, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র, সূচী, ঘটনাস্থলের স্থিরচিত্র প্রসিকিউশনে জমা দেওয়া হবে বলে জানান সানাউল।