পর্যটক আকর্ষণে অবকাঠামো ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের পরামর্শ

আবাসন ও পরিবহন সুবিধার সঙ্গে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা যদি না থাকে, তাহলে বিদেশি পর্যটকরা আসবে না; তাই সেদিকে দৃষ্টি দিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন গণমাধ্যম সম্পাদকরা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Oct 2015, 04:55 PM
Updated : 7 Oct 2015, 01:59 PM

পর্যটন বর্ষ পালনের প্রাক্কালে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠায় সরকারের উদ্যোগেরও প্রশংসা করে মঙ্গলবার পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে এই পরামর্শ দেন তারা।

মহাখালীতে পর্যটন করপোরেশনের হোটেল অবকাশে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী।

সম্প্রতি দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের পর পর্যটন সংশ্লিষ্টদের শঙ্কার মধ্যে মেনন পর্যটন শিল্পের বিকাশে গণমাধ্যমে ইতিবাচক প্রচারণার বিষয়ে সম্পাদকদের কাছে সহযোগিতা চান।

তিনি বলেন, “অক্টোবর-থেকে ডিসেম্বর সময়টা পর্যটনের জন্য উপযুক্ত সময়। দেশের বিভিন্ন স্থানে যা কিছু ঘটুক তার একটা প্রভাব পড়ে পর্যটনে। এ সময়কালে যতটা পজিটিভ নিউজ করা যায়, ততটা এ খাতের জন্য ভালো।”

সম্পাদকদের মধ্যে সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার বলেন, “কোনো কোনো মহলের অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”

চ্যানেল আইয়ের শাইখ সিরাজ বলেন, বাংলাদেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী স্থান অবহেলিত।পর্যটন খাতের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে কাজ করতে হবে।

বিমান বন্দরের হয়রানি বন্ধ করার উপর জোর দেন কয়েকজন সম্পাদক। দর্শনীয় স্থানের বিষয়ে সুচারু ধারণা দিতে উপযুক্ত গাইড তৈরির পরামর্শও আসে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী, আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, সময় টেলিভিশনের আহমেদ জুবায়ের সভায় উপস্থিত ছিলেন।

অনেক জটিল সময় পার করে বাংলাদেশকে শান্তির ও দর্শনীয় স্থান হিসেবে বিশ্বের কাছে মেলে ধরতে সরকারের প্রচেষ্টার কথা সম্পাদকদের জানান মন্ত্রী।

সেইসঙ্গে বাজেটে পর্যটন খাতে বরাদ্দ কম থাকায় হতাশাও প্রকাশ করেন তিনি।

মেনন জানান, আগামী ২৭-২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দক্ষিণ এশিয়ার বিখ্যাত বুদ্ধিস্ট-সার্কিটগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ততায় করণীয় নির্ধারণে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ১৩টি দেশের মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশের সব স্তরের নাগরিক প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্মেলনে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ‘ভিজিট বাংলাদেশ-লাইফ হেপেন্স হেয়ার’ প্রচারণার উদ্বোধন করবেন।