সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার জেএমবি নেতা ভোরে ‘গ্রেনেড বিস্ফোরণে’ নিহত

আগের দিন গ্রেপ্তার জেএমবির ‘সামরিক শাখার প্রধান’ মো. জাবেদ (২৬) বিস্ফোরক উদ্ধারের এক অভিযানের সময় ‘গ্রেনেড বিস্ফোরণে’ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Oct 2015, 02:37 AM
Updated : 6 Oct 2015, 08:44 AM

চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বাবুল আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জাবেদকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে নিয়ে অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে অভিযানে যায় পুলিশ। সেখানেই এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে জাবেদকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিস্ফোরণে তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে বাবুল আক্তারের ভাষ্য।  

সোমবার বিকালে কর্ণফুলী থানার খোয়াজনগর আজিমপাড়া এলাকার আইয়ুব বিবি সিটি করপোরেশন কলেজ রোড সংলগ্ন একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জাবেদসহ পাঁচ জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ওই বাসা থেকে নয়টি হ্যান্ডগ্রেনেড, ১২০ রাউন্ড গুলি, একটি পিস্তল, ১০টি ছুরি ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করার কথা রাতে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বাবুল আক্তার।

ওই বাসায় তল্লাশির সময় জাবেদ পুলিশের দিকে গ্রেনেড ছোড়ার চেষ্টা করছিলেন বলেও রাতে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন বাবুল।

সকালে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জাবেদ তার কাছে আরও অস্ত্র ও বিস্ফোরক থাকার কথা জানালে তাকে নিয়ে পুলিশ ভোরের দিকে অক্সিজেন এলাকায় অভিযানে যায়।  

“অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে একটি খেঁজুর গাছের নিচে গ্রেনেড রাখা ছিল। জাবেদকে নিয়ে সেখানে যাওয়ার পর বিস্ফোরণ ঘটে। এতে জাবেদ এবং আমাদের তিন সদস্য আহত হন।”

এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়া হলে চিকিৎসক জাবেদকে মৃত ঘোষণা করেন বলে বাবুল আক্তার জানান।

তিনি বলেন, বিস্ফোরণে আহত এসআই মো. ইলিয়াস, এসআই লিয়াকত আলী ও কনস্টেবল ফয়সাল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

পুলিশ বলছে, জাবেদের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এবং তিনি পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। ২০১২ সাল থেকে তিনি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সঙ্গে যুক্ত।

খোয়াজনগরে তিন কক্ষের যে বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, গত ১ অক্টোবর সেটি তিনি ভাড়া নিয়েছিলেন পরিবার নিয়ে থাকার কথা বলে।

ওই বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের আগে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে সুজন ওরফে বাবু (২৮), ফুয়াদ (৩৩), মাহবুব (৩৭) ও কাজল (৪০) নামে আরও চার জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।