শুক্রবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে ফ্লাইট বিজি-১৫২ এ দুর্ঘটনায় পড়ে বলে ইউএস বাংলার সৈয়দপুর ইনচার্জ রাকিব মোস্তাকিন জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “যাত্রীরা সবাই নিরাপদে আছেন। কেউ আহত হননি।”
সেনাবাহিনী ও বিমানবন্দর ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় ড্যাশ-৮ কিউ৪০০ মডেলের বিমানটির চাকা মেরামত করে বিকালে বিমানটিকে রানওয়েতে ফিরিয়ে আনার আগ পর্যন্ত প্রায় সাত ঘণ্টা সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকে।
ওই বিমানের যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহীম ও নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা।
ইকবালুর রহীম টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এটা ঘটেছে। খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন করে সবার খোঁজ খবর নিয়েছেন। আমি উনাকে জানিয়েছি, সবাই ভাল আছে।”
ইউএস বাংলার গণমাধ্যম সমন্বয়কারী শেখ সাদী শিশির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিমানটি অবতরণের সময় সৈয়দপুরে বৃষ্টি হচ্ছিল। রানওয়ে পিচ্ছিল অবস্থায় ছিল। এ কারণে যেখানে প্লেন থামার কথা তা না থেমে পিছলে সামনে চলে যায়।
এতে বিমানের চাকা রানওয়ে থেকে বেরিয়ে গিয়ে মাটিতে দেবে যায়। দুর্ঘটনায় চাকা সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে রাকিব মোস্তাকিন জানান।
“দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমাদের দুজন প্রকৌশলী ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে এখানে আসেন। এছাড়া সৈয়দপুর সেনানিবাসের প্রকৌশল বিভাগের কয়েকজন এবং বিমানবন্দর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত চাকা মেরামত করে উড়োজাহাজটি রানওয়েতে ফিরিয়ে আনেন।”
উড়োজাহাজটি রানওয়েতে ফেরানোর পর বিকাল পৌনে ৪টার দিকে সেটি ৪৬ জন যাত্রী নিয়ে আবার ঢাকায় ফিরে যায় বলে ইউএস বাংলার এই কর্মকর্তা জানান।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক শাহিন আহমেদ বলেন, “তেমন বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। বিমানটি উদ্ধার কাজ শেষে আবার ওঠানামা স্বাভাবিক হয়েছে।”
ইউএস বাংলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ আলম মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিমানটি আসলে ছিটকে পড়েনি। রানওয়েতে স্বাভাবিকভাবেই ল্যান্ড করেছিল। ল্যান্ড করার পর একটি চাকা কাদার মধ্যে একটু দেবে যায়।”