সোমবার বিকাল ৪টার দিকে গজনবী সড়কে নেমে বিক্ষোভ করতে থাকেন ক্যাম্পের বাসিন্দারা। সন্ধ্যা পর্যন্ত, তারা সড়কটির একটি অংশ অবরোধ করে রাখে। পরে জলকামান নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়।
এই ঘটনার সময় জেনেভা ক্যাম্পের আশেপাশের সকল দোকনপাট বন্ধ হয়ে যায়।
আটকেপড়া পাকিস্তানিদের ওই ক্যাম্পে গত রোববার পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রির অভিযোগে আটজনকে আটক করে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মাদক বিক্রেতা নন। প্রকৃত মাদক বিক্রেতাদের আড়াল করতেই এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অবরোধের মধ্যে রোববারের অভিযানে আটক জুম্মন (৩০) নামে একজন মারা গেছেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা বেড়ে যায়।
সাদেক নামে এক বিক্ষোভকারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটবমকে বলেন, “স্থানীয় এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় ইশতিয়াক নামে একজন জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসা করছে।
“তাকে সহায়তা করছে জেনেভা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী এবং মাছুয়া সাঈদ নামে এক মাছ ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসা চালানোর জন্য এরা প্রতি সপ্তাহে পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে ৫ লাখ টাকা দিয়ে থাকে।”
এ অভিযোগ অস্বীকার করে ক্যাম্পের চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি এ ধরনের কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত নই।”
পুলিশের এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দেখা যায়, জেনেভা ক্যাম্পে দীর্ঘদিন ধরেই মাদক বিক্রি চলে আসছে। বিশেষ করে ইয়াবা বিক্রির একটি চক্র রয়েছে সেখানে। প্রায় ২৫টি স্পটের মাধ্যমে এই মাদকের কেনাবেচা চলে। সোমবারের বিক্ষোভের সময় ক্যাম্পের একাধিক বাসিন্দা বলেন, পুলিশ জানে কারা কারা মাদক বিক্রি করে। পুলিশের ছত্রছায়া ছাড়া তারা ব্যবসা করতে পারে না।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি মো. জামাল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযানে প্রকৃত মাদক ব্যাবসায়ীদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর একজনের মৃত্যুর যে কথা বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয়।”
মাদক বিক্রিকে কেন্দ্র করে অর্থ লেনদেনের অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি।
ওসি বলেন, “ওই এলাকায় আরও যারা মাদক বিক্রিতে জড়িত, তাদের ধরতেও অভিযান চলবে। এছাড়া মাদক ব্যবসায় সরাসরি বা পরোক্ষভাবে যারাই জড়িত থাক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”