‘২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন প্রদানসহ ১ম পেশাগত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে’ লেখা ব্যানার নিয়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রেজওয়ান মৃধা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়ায় কম নম্বর চেয়ে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো শিক্ষার্থী ভর্তি করানোয় প্রায় সাড়ে সাতশ শিক্ষার্থীকে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হচ্ছে না। ফলে সে সকল শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ১ম পেশাগত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।
“শিক্ষজীবনের মাঝপথে এসে যদি আমাদের রেজিস্ট্রেশন না করা হয় তাহলে আমাদের ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যাবে। অথচ আমাদের আর অন্য কোথাও ভর্তির সুযোগও নেই।”
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, মেডিকেলে ভর্তির জন্য ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ১২০ নম্বর থাকার নিয়ম করে দেওয়া হলেও গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ‘অল্প আসনে বিশেষ সুবিধায় ১১০ নম্বরপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সুযোগ’ উল্লেখ করে ভর্তির বিজ্ঞাপন দেয় বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলো।
এই সুযোগে ভর্তি হওয়া ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মো. শামীম আহমেদ বলেন, “ভর্তি করিয়ে অনিয়ম করলে সেটা কলেজ কর্তৃপক্ষ করেছে। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন নম্বর না দিয়ে শিক্ষার্থীদের কেন সেই অনিয়মের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে?”
রেজিস্ট্রেশন নম্বর না পাওয়ায় গত মে মাসে অনুষ্ঠিত প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি বলে জানান তিনি।
শামীম আহমেদ বলেন, “হাই কোর্টের একটি রিট আদেশের প্রেক্ষিতে এই সব শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হলেও পরে সরকারপক্ষের আপিলের কারণে সেই শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়। এই বিষয়ে হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এই শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত হয়।
“কিন্তু চলতি বছর সুপ্রিম কোর্টে সরকারপক্ষ আপিল করলে এসব শিক্ষার্থীদের ভাগ্য আবারও ঝুলে যায়।”
এ পরিস্থিতিতে রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় এসব শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।