জেলর পুলিশ সুপার এ কে এম এহসান উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রোববার ভোরে ঢাকা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি। বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা যোগাযোগ রাখছি।”
মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হোসেন মুক্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকালে ঢাকার কল্যাণপুরে তার এক বন্ধুর বাসা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে ঢাকার র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ সুমন নামে মাগুরার কাউকে গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করেছে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২৩ জুলাই বিকালে মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়ায় সাবেক ছাত্রলীগকর্মী কামরুল ভূইয়ার সঙ্গে সাবেক যুবলীগকর্মী মহম্মদ আলী ও আজিবরের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।
এসময় কামরুলের বড় ভাই বাচ্চু ভূঁইয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০) ও প্রতিবেশী মিরাজ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। কামরুলের চাচা আব্দুল মোমিন ভূঁইয়া গুলিতে নিহত হন।
দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় একপক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন গুলিবিদ্ধ নাজমার দেবর কামরুল। গর্ভস্থ সন্তান গুলিবিদ্ধ হওয়ার এ ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় নিহত মোমিনের ছেলে রুবেল ভূঁইয়া ২৬ জুলাই মাগুরা সদর থানায় যে মামলা করেছেন, তাতে মোট ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুমনকে করা হয়েছে হুকুমের আসামি।
সংঘর্ষে জড়ানো দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। তবে আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন ছাত্র ও যুবলীগের নেতারা এর দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।