রাবি হলে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মারামারি, আহত ৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলে গভীর রাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের  নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারিতে তিনজন আহত হয়েছেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 August 2015, 06:57 AM
Updated : 2 August 2015, 06:57 AM

মতিহার থানার ওসি হুমায়ূন কবির জানান, শনিবার রাতে ওই হলে মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

“পরিস্থিতি থমথমে থাকায় হল গেইটে রাত থেকেই তিন গাড়ি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে,” বলেন তিনি।

আহত তিনজন হলেন- সৈয়দ আমীর আলী হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকত হোসাইন, সমাজকর্ম বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হাসিবুল আলম ও অর্থনীতি বিভাগের মাসুদ রানা।

এদের মধ্যে হাসিবুল ও মাসুদকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হলের ছাত্ররা জানান, হাসিব হলের ২০৫ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তাকে ওই কক্ষে তুলেছিলেন হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান ইমন।

ঈদের পর ক্যাম্পাসে এসে রাত ১১টার দিকে ইমনকে না জানিয়ে হাসিব ২১৩ নম্বর কক্ষে চলে যান। এর জের ধরে ইমন ও হল ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম সজল কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে রাতে হাসিবকে মারধোর করে। পরে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

হলের ছাত্রলীগ নেতা সৈকত হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাসিবের কক্ষ পরিবর্তনের সময় আমি সেখানে ছিলাম। ইমন ও সজল তাকে নিজেদের কক্ষে ডেকে নিয়ে যেতে চাইলে হাসিব আমাদের সঙ্গে থাকতে চায়। এরপর তারা জোর করে হাসিবকে বের করে নিয়ে মারধর করে। বাধা দিতে গেলে আমাকে ও মাসুদকে লাঠি ও ফুলের টব দিয়ে পেটায়।”

পিটুনিতে আহত মাসুদকেও রাজশাহী মেডিকেলের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

সৈকত বলেন, “ইমন ও সজল হলে দীর্ঘদিন ধরে ‘সিট বাণিজ্য’ করে আসছে। আমি হলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরও আমাকে না জানিয়ে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইফতারির টাকা তুলেছে।”

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শামসুজ্জামান ইমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘটনার সময় আমি হলের গেইটে পুলিশের সঙ্গে ছিলাম। সৈকত ও তার ছেলেদের হয়তো সজলের কর্মীরা মেরেছে। এ বিষয়ে আমি বেশি কিছু জানি না।”

হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম সজল বলেন, “হাসিবকে তার কক্ষ থেকে সৈকত বের করে দেওয়ায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। সৈকতকে মারার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”

প্রক্টর অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান বলেন, “আমি প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। সম্ভবত ছিট বাণিজ্য নিয়ে এ মারামারি হয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”