নতুন বেতন কাঠামো দ্রুত বাস্তবায়ন হবে: প্রধানমন্ত্রী

সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন নিয়ে দুশ্চিন্তা না করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2015, 05:06 PM
Updated : 30 July 2015, 05:06 PM

তিনি বলেছেন, “এ ব্যাপারে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আমরা দ্রুত বাস্তবায়ন করে দেব।”

বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

ফাইল ছবি

সর্বোচ্চ ৮০ হাজার ও সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২০০ টাকা মূল বেতন ধরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো গত ডিসেম্বরে সুপারিশ করছে বেতন ও চাকরি কমিশন।

সরকারের শীর্ষ নীতি নির্ধারকরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের জুলাই থেকেই নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী সরকারি চাকরিজীবীদের বলেন, নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নে সময় লাগলেও বকেয়া জমে তাদের ‘ফোর্সড সেভিংস’ হচ্ছে।

এর আগে ২০০৯ সালে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের বেতন বাড়ানোর কথাও বক্তব্যে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তবে বেতন বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মকর্তাদের জনগণকে সেবা দেওয়ার কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ঔপনিবেশিক চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় মানুষের সেবা করাটাই সরকারি চাকরিজীবীদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ।

তাই তারা সেবক হিসেবে কাজ করবেন বলেও আশা করেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় প্রধানমন্ত্রী দারিদ্র্য বিমোচনসহ দেশের উন্নয়নে কাজ করার জন্যও কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান। এর পাশাপাশি জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস যেন মাথাচাড়া দিতে না পারে সেদিকে নজর দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

এছাড়া মাদক থেকে যুব সমাজকে দূরে রাখা এবং খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা ব্যাপকভাবে প্রচলন করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য নিয়ে তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

“সে লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে মূল চালিকাশক্তি কিন্তু আপনারা। কাজেই আমি চাইব, আপনাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন।”

২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ার রূপকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যে লক্ষ্য আমরা ঠিক করেছিলাম তা পূরণে আমরা ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছি।

“আমরা ২০১৫ সালে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। আমরা মাহন মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি। আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা নিম্নে থাকতে চাই না। আমরা উচ্চ পর্যায়ে উঠতে চাই।”

বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রায় প্রশাসনিক ক্যাডারদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি আগামীতেও তাদের সহযোগিতা কামনা করেন।

জনপ্রশাসন সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বক্তব্য রাখেন।

পরে প্রশাসনিক ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন এবং নৈশভোজে অংশ নেন।