বুধবার সচিবালয়ে ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশনে তারা এই দাবি জানান।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রামের পানিতে দূষণের মাত্রার সঙ্গে আয়রন ও আর্সেনিকের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি ডিসিরাও তুলেছেন।
“আর্সেনিক বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ মাটির নিচের পানির স্তর তিন থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে যাওয়া। ভবিষ্যতে আরও অনেক দূষণের উদ্ভাবন হতে পারে।”
গ্রামে ‘রাজাদের’ গড়া যেসব ওয়াটার সাপ্লাই প্ল্যান্ট ছিল সেগুলোর সঙ্গে জলাধারগুলোকেও পুনরুদ্ধার করতে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
“পুরনো সরোবর ও জলাধারের তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতেও ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এগুলো দেখে একটা প্রকল্প নেওয়া হবে।”
জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে কোনো ডিসিই সম্মেলনে দাবি তুলেননি জানিয়ে মোশাররফ বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
গ্রামের যেসব সড়কে লোকজন স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারে না সেগুলোক মেরামত করা হবে বলেও জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন সমস্যা এবং গ্রাম পুলিশের বেতন নিয়ে ডিসিরা আলোচনা করেছেন জানিয়ে মোশাররফ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সব সাচিবিক কাজ করতে পারেন না, সেখানে আরেকজন হিসাবরক্ষক দেওয়া হবে।