এই যুদ্ধাপরাধী নিজেকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার’ শিকার বলেও দাবি করেছেন বলে এক কারা কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
চারটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সাবেক এই মন্ত্রীর আপিলে বুধবার রায় দেবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত।
এই রায়কে কেন্দ্র করে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে কারা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায়ের আগে থেকে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি ছিলেন কাশিমপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ। ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর তাকে কারাগার-১ এ নেওয়া হয়।
রায়ের আগের দিন বন্দির অবস্থা জানতে চাইলে জেলার মো. ফরিদুর রহমান রেজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিনি বলেছেন, ‘আমি ন্যায়বিচার পাব’। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তিনি বলেছেন, তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।”
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনকারীরা বলছেন, একাত্তরে চট্টগ্রামের ত্রাস সালাউদ্দিন কাদেরর মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলেই ন্যায়বিচার পাবেন নির্যাতিতরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক কারা কর্মকর্তা বলেন, “কারাগার-২-এ বন্দি থাকাকালে উনি (সালাউদ্দিন কাদের) যে প্রতাপ দেখাতেন, এখন সেই আচরণ আর নেই। তাকে চিন্তাযুক্ত মনে হচ্ছে।”
জেলার ফরিদুর জানান, আপিলের রায়ের আগে থেকেই কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
“তবে আপিলের রায় উপলক্ষে আমরা বেশ সজাগ রয়েছি এবং আগের চেয়ে কারাগার এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।”