সমগ্র বাংলাদেশ

সিলেটে রায়হান হত্যা: নোমানকে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির আদেশ

Byসিলেট প্রতিনিধি

সিলেটের মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আমিরুল ইসলাম বুধবার এই আদেশ দেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবুল ফজল।

গত বছর ১১ অক্টোবর সিলেট শহরের আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পুলিশ সদস্যরা তাকে নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান।

তাছাড়া কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করেন বলে অভিযোগ।

আইনজীবী ফজল বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও মালামাল ক্রোকের আদেশ দেয় আদালত। পুলিশ নোমানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কোনো মালামাল পায়নি। এ অবস্থায় তাকে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেয় আদালত।

“বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও হাজির না হলে তার অনুপস্থিতেই বিচারকাজ শুরু হবে বলেও আদালত আদেশ দিয়েছে।”

গত ৫ মে আলোচিত এ মামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য ও নোমানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট পিবিআইয়ের পরিদর্শক আওলাদ হোসেন।

তাদের মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্য জেলে থাকলেও নোমান পলাতক।

পাঁচ পুলিশ সদস্য হলেন বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটুচন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদ।

সকালে তাদের কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়।

রায়হানের মা সালমা বেগম দ্রুত বিচার শুরুর দাবি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “মামলার মূল সব আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এখন কথিত সাংবাদিক নোমান পলাতক রয়েছে। আমারা শুনেছি নোমান দেশে ছেড়ে পালিয়েছে। এখন সে ফ্রান্সে অবস্থান করছে। তাই আর বিলম্ব না করে দ্রুত মামলার বিচারকাজ শুরু করা হোক। আর পলাতক নোমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির মুখোমুখি করার দাবি জানাচ্ছি।”

SCROLL FOR NEXT