বৃহস্পতিবার সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবদুল মোমেন অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে মামলার এক পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বলে আদালত পুলিশের পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাশ জানান।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তার পাঁচ পুলিশ সদস্যকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালতে এক হাজার ৯০০ পৃষ্টার তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এ সময় আদালতে রায়হানের মা সালমা বেগম ও স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী উপস্থিত ছিলেন।
কোনো পক্ষের দ্বিমত না থাকায় বিচারক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) জমা দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন এবং এ সময় মামলার পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এর আগে গত ৫ মে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আওলাদ হোসেন।
এছাড়া আব্দুল্লাহ আল নোমান নামে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে; যার বিরুদ্ধে ভিডিও ফুটেজ গায়েব করার অভিযোগ রয়েছে।
গত বছরের ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট নগরীর আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে এনে নির্যাতন করেন ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পুলিশ সদস্যরা। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
রায়হান হত্যার পরদিন ১২ অক্টোবর তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তারে দাবিতে চলে নানা কর্মসূচী।
নিহত রায়হানের মা সালমা বেগম বলেন, “রায়হান হত্যার সঙ্গে জড়িত সব পুলিশ সদস্য ও তাদের সহযোগীকে অভিযুক্ত করায় আমারা খুশি।”
আসামিদের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার দাবি জানান তিনি।