সমগ্র বাংলাদেশ

পঞ্চগড়ে পুরোহিত হত্যাকাণ্ড: এক মামলার বিচার শুরু

Byপঞ্চগড় প্রতিনিধি

একই ঘটনায় অপর দুটি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।

বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ তিন মামলার কার্যক্রম চলে।

গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরে সন্ত গৌড়ীয় মঠে মোটরসাইকেলে আসা হামলাকারীরা পুরোহিত যজ্ঞেশ্বর রায়কে (৫০) চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে।

এ ঘটনায় দেবীগঞ্জ থানায় ওইদিন রাতে যজ্ঞেশ্বরের বড় ভাই রবীন্দ্রনাথ বাদী হয়ে হত্যা মামলা এবং পুলিশের এসআই মজিবর রহমান বাদী হয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক আরও দুটি মামলা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি আমিনুর রহমান জানান, অস্ত্র মামলায় বাদী এসআই মজিবর রহমান, মঠের সাধু নির্মল চন্দ্র রায় এবং পূজারী রাধামাধব দাস ও চিত্তরঞ্জন রায়, হাসান আলী ও মশিউর রহামন সাক্ষ্য দেন।

“বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় নির্মল চন্দ্র রায় ও রাধামাধব দাস বাদে অন্য চার জন সাক্ষ্য দেন।”

তিনি আরও জানান, হত্যা মামলায় উপস্থিত ৫ আসামি ও পলাতক এক আসামির বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করেছে। আগামী বছরের ১৮ জানুয়ারি হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

“এছাড়া অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন রাখা হয়েছে ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি।”

আসামির আইনজীবী আব্দুল আলীম বলেন, “আদালতে আমরা চার আসামির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছি। তবে অপর আসামি  জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব ওরফে আন্ধির পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।”

মামলাগুলোতে আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ ও অভিযোগ গঠনের দিন থাকায় সকাল থেকেই আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

আসামি জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব ওরফে আন্ধিকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আদালতে আনা-নেওয়া করা হয়।

অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুই মামলায় মোট সাক্ষী ৮৩ জন। এ সময় মামলা দুটির জীবিত ৬ আসামির মধ্যে ৫ জন যথাক্রমে জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব ওরফে আন্ধি, খলিলুর রহমান, রমজান আলী, হারেজ আলী ও আলমগীর হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর আসামি রানা ঘটনার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন।

অন্য চার আসামি রাজিবুল ওরফে বাধন হলি আর্টিজানে, সফিউল ওরফে সোহান ওরফে ডন শোলাকিয়ায়, নজরুল ওরফে বাইক নজরুল রাজশাহীতে ও সাদ্দাম হোসেন ওরফে রাহুল ঢাকায় নিহত হয়েছেন।

SCROLL FOR NEXT