সোমবার বিকেলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের কাছে পুরোহিত হত্যায় গ্রেপ্তার রমজান আলী (২২) এই জবানবন্দি দেন বলে দেবীগঞ্জ থানার ওসি সুকুমার মোহন্ত জানান।
এর আগে এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আসামি আলমগীর হোসেন (২৮) আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছিল।
ওসি সাংবাদিকদের বলেন, “বেলা ১টায় রমজানকে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মার্জিয়া খাতুনের আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক তাকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার আগে চিন্তাভাবনা করার জন্য সময় দেন।
“পরে বিকেল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত বিচারকের খাস কামরায় জবানবন্দিতে পুরোহিত হত্যার পরিকল্পনাসহ পুরো ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।”
পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহমদ বলেন, “রমজান পুলিশের কাছে ১৬১ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে পুরোহিতকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে আদালতে তিনি কী বলেছেন সেটা আমাদের জানা নেই।”
জবানবন্দি শেষে আদালত রমজানের রিমান্ড আদেশ বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় বলে ওসি জানিয়েছেন।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরে অবস্থিত সন্ত গৌড়ীয় মঠে গিয়ে দুর্বৃত্তরা পুরোহিত যজ্ঞেশ্বর রায়কে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে। সে সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ভক্ত গোপাল চন্দ্র আহত হন।
এ ঘটনায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে আলাদা দুটি মামলা হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রমজান আলী দুই মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ডে ছিলেন।
দুই মামলায় রমজান ও আলমগীর ছাড়া আরও আটক রয়েছেন হারেজ আলী, বাবুল হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ও খলিলুর রহমান।