অর্থনীতি

রিজার্ভ চুরি: ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য যাচাইয়ে সিআইডি

Byলিটন হায়দার

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই করতে দেশের বাইরে বাংলাদেশের এক রাষ্ট্রদূতের কাছে পাঠানো হয়েছে।”

তবে কী বিষয়ক তথ্য পাওয়া গেছে, তদন্তের এই পর্যায়ে সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডির এই কর্মকর্তা।  

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মীর্জা আবদুল্লাহ হেল বাকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে। যেসব তথ্য ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে, তা যাচাই বাছাই চলছে।”

সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং সফলতায় আশাবাদী।

যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপিন্স ও শ্রীলঙ্কা এই তিন দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের অর্থ খোয়া গিয়েছিল। তা গিয়েছিল ফিলিপিন্স ও শ্রীলঙ্কার দুটি ব্যাংকে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার আটকানো গেলেও ফিলিপিন্সে যাওয়া ৮ কোটি ডলারের অধিকাংশই জুয়ার আখড়া হয়ে দেশটি থেকে পাচার হয়ে গেছে বলে গণমাধ্যমের খবর।

বিষয়টি চেপে রেখে সমালোচনার মধ্যে গভর্নর আতিউর রহমান সরে যাওয়ার পর ঘটনার ৪০ দিনের মাথায় বাংলাদেশ ব্যাংক মামলা করলে তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।

তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম বড় এই আর্থিক জালিয়াতির তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের পাশাপাশি ইন্টারপোলের সহায়তাও নেওয়া হচ্ছে বলে জানান অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ আলম।

ইন্টারপোল বাংলাদেশ শাখা ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) দায়িত্বে নিয়োজিত এআইজি রফিকুল ইসলাম গণি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা সিআইডি এবং ইন্টারপোলের মধ্যে সমন্বয় করে দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে তদন্তে সিআইডি (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে তদন্তে সিআইডি (ফাইল ছবি)

এদিকে গত কয়েকদিনের মতো সোমবারও বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে তদন্ত চালিয়েছেন সিআইডির কর্মকর্তারা। নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন তারা, কথা বলেন ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গেও।  

সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের সবাইকে এ মুহূর্তে আতঙ্কিত করে লাভ নেই। আমরা সবার সাথে খুব আন্তরিক সম্পর্ক রেখে কাজ আদায় করে নিচ্ছি।”

এই ঘটনার পূর্ণ তদন্তে সরকার সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছে। ওই কমিটি তদন্তের বিষয়ে এক মাস আগে গণমাধ্যমে কিছু না বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

SCROLL FOR NEXT