ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র মিশনে থাকা এফবিআই প্রতিনিধির সঙ্গে আগামী রোববার কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন সিআইডির ডিআইজি সাইফুল ইসলাম।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অফ নিউ ইয়র্কে গচ্ছিত থাকা বাংলাদেশের ১০ কোটি ডলার ‘হ্যাকিংয়ের’ মাধ্যমে লোপাটের এই ঘটনা সারাবিশ্বেই এখন আলোচিত।
এদিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক জিজ্ঞাসায় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ন্যান্সি ভ্যানহর্ন জানিয়েছেন, এই তদন্তে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে ওয়াশিংটন তৈরি আছে।
রিজার্ভ চুরির বিষয়টি চেপে রেখে গভর্নর আতিউর রহমান সরে যেতে বাধ্য হলে ঘটনার ৪০ দিন পর মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক মামলা করলে তার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।
বুধবার মতিঝিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে তদন্ত চালানোর একদিন বাদে এফবিআইয়ের সহযোগিতা নেওয়ার কথা জানায় সিআইডি।
প্রযুক্তি সহায়তার জন্য এফবিআইয়ের শরণ নিচ্ছেন কি না- বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এই প্রশ্নে ডিআইজি সাইফুল বলেন, “আমরা প্রযুক্তির দিক দিয়ে এ মুহূর্তে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এফবিআই প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বললেও প্রযুক্তির বিষয়টি আসবে না।”
বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাক করে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে তহবিল স্থানান্তরের বার্তা পাঠানো হয়। সে অনুযায়ী সুইফট মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে ১০ কোটি ডলার চলে যায় ফিলিপিন্স ও শ্রীলঙ্কার দুটি ব্যাংকে।
শ্রীলঙ্কার অর্থ আটকানো গেলেও ফিলিপিন্সের চারটি অ্যাকাউন্টে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার বেরিয়ে যায়। তার জুয়ার টেবিল হয়ে ফিলিপিন্স থেকে পাচার হয়ে গেছে বলেও দেশটির গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে সিআইডি কর্মকর্তা সাইফুল বলেন, “সার্ভার কক্ষে (বাংলাদেশ ব্যাংকের) যে ১০ জনের প্রবেশাধিকার ছিল, তাদের সাথে যাদের কাছে চোরাই অর্থ গেছে সেই হ্যাকারদের কোনো লিংক আছে কি না, সে ব্যাপারটি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি।”
বৃহস্পতিবারও সিআইডির একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকে যায়। তারা সন্ধ্যার পরেও সেখানে অবস্থান করেন।
বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলা ছাড়াও কিছু আলামত সংগ্রহ করেন তারা। আলামত পরীক্ষা করা হচ্ছে সিআইডির নিজস্ব পরীক্ষাগারে।
সাইফুল বলেন, তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইটি নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
সদ্য বিদায়ী গভর্নর আতিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন কি না- এ প্রশ্নে সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, “এখনও এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে প্রয়োজন হলে আইনানুযায়ী অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”