মিয়ানমারে নৌকায় উদ্ধার ৭২৭ জনের গন্তব্য কোথায়?

একদিন আগে মিয়ানমার উপকূলে উদ্ধার হওয়া সাতশ’র বেশি অভিবাসী বোঝাই নৌকাটি এখনও সমুদ্রেই রয়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 30 May 2015, 02:47 PM
Updated : 30 May 2015, 02:47 PM

নৌকাটি ঠিক কোথায় ভেড়ানো হবে তা নিয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলছে না।

সাগরপথে মানবপাচার ও রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ১৭ জাতির আলোচনার মধ্যেই শুক্রবার মিয়ানমার উপকূলে একটি নৌযান থেকে ৭২৭ জনকে উদ্ধার করার খবর দেয় দেশটির সরকার।

উদ্ধারের পর মিয়ানমার সরকারের ইরাবতী বিভাগের উপ মহাপরিচালক তুন কিয়াও কিয়াও বলেন, “নৌকাটিকে হিয়াঙ্গি দ্বীপের নৌঘাঁটির দিকে নিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের নৌবাহিনী।”

কিন্তু শনিবার দেশটির নৌবাহিনীর প্রধান কমান্ডার সোই মিন রয়টার্সকে বলেন, তারা এখন অন্য কোনো জায়গার কথা ভাবছেন।

“হয়তো নৌকাটি হিয়াঙ্গি দ্বীপে ভেড়ানো হবে না। নৌবাহিনী হয়তো আরও উত্তরের কোনো জায়গায় নৌকাটি নিয়ে যাবে। সেটা রাখাইন রাজ্যের সিতউই হতে পারে। আমরা এখনও এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারিনি।”

হিয়াঙ্গি দ্বীপের নগর কর্তা মিও উইন রয়টার্সকে বলেন, শনিবার বিকালে কাছের অন্য কোনো দ্বীপে অস্থায়ীভাবে নৌকাটি ভেড়ানো হবে।

কিন্তু তারপর নৌকাটি কোথায় নেওয়া হবে সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি।

নৌকার যাত্রীদের বরাত দিয়ে মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়, তারা তিনটি নৌকায় করে গত মার্চ মাস থেকে সমুদ্রে ভাসছে। এরই মধ্যে অন্তত ৫০ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। পরে মানবপাচারকারীরা তাদের একটি নৌকায় জড়ো করে এবং সমুদ্রে ফেলে রেখে চলে যায়।

রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য মিয়ানমার সরকারকে কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। দেশটির প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার ভূমি অধিকার নেই এবং সেখানে তাদের খুবই মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।

২০১২ সালে রাখাইন রাজ্যে বৌদ্ধ ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে দাঙ্গায় অন্তত এক লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে।

তবে শুক্রবারের বৈঠকে জাতিসংঘ সাগরে আটকা পড়া দুর্গত হাজার হাজার মানুষকে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধারের কথা বললে মিয়ানমার জোর দিয়ে বলেছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ‘নৌকার মানুষদের’ সাম্প্রতিক আগমণের জন্য দেশটি দায়ী নয়।