অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট বিক্রির অভিযোগে পাকিস্তান ভিত্তিক গ্লোবাল ইন্টারনেট টেকনোলজি (আইটি) ফার্ম ‘এক্সাক্ট’ এর প্রধান শোয়েইব শেখকে আটক করেছে তদন্তকারীরা।
Published : 27 May 2015, 10:49 PM
মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানের তদন্ত কর্মকর্তারা এক্সাক্টের করাচি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়েইবসহ তার সহকারী ওয়াকাস আতিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন।
কর্মকর্তারা জানান, এক্সাক্ট কার্যালয়ে তারা হাজার হাজার খালি ডিগ্রি ফরম, শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র, প্রত্যয়নপত্র খুঁজে পেয়েছেন। তবে এক্সাক্টের পক্ষ থেকে সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে।
১০ দিন আগে ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সফটওয়্যার ফার্ম এক্সাক্ট বিশ্বব্যাপী ভুয়া সনদ বিক্রি করছে।
আইটি খাতে সফটওয়্যার নির্মাণকে তুলে ধরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিপ্লোমা সার্টিফিকেটের প্রস্তাব দিয়ে থাকে ফার্মটি। তাদের অনলাইন সার্টিফিকেট দেদারসে বিক্রি হয়েছে। এভাবে ফার্মটি লাখ লাখ ডলার আয় করছে।
এসব সার্টিফিকেট যারা নেন তাদের উচ্চ বেতনের লোভনীয় চাকরির প্রস্তাবও দেয়া হয়। এক পর্যায়ে অনেকে এগুলো ভুয়া বুঝে ফেলার পরও প্রয়োজনে তা নেন।
তদন্ত কর্মকর্তরা এক্সাক্টের করাচি ও ইসলামাবাদ কার্যালয়ে অভিযান চালায় এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েক ডজন কর্মীকে আটক করে।
সম্প্রতি এক্সাক্টের মিডিয়া বিভাগ ‘বোল’ নতুন পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেল উদ্বোধনের ঘোষণা দেয়। বোলের জন্য বাজার দরের চাইতে তিন বা চার গুণ বেশি বেতনে সাংবাদিকদের নিয়োগ দেয় এক্সাক্ট।বিষয়টি পাকিস্তান গণমাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলে।
তবে এখন ওইসব জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক যারা বেশ কয়েক বছর ধরে বোলের সঙ্গে কাজ করছেন এবং উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা পদত্যাগ করেছেন।
গত সপ্তাহে এক্সাক্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়, “এটি একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং এর মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থার শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে। এটি অনলাইন ও প্রথাগত সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের ব্যাপারেও সচেতন।”
“এক্সাক্টের ১০টি ব্যবসা শাখার সবগুলোই আইনসঙ্গত, বৈধ এবং বিশ্বব্যাপী আইটি সেবার মান সমৃদ্ধ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এক্সাক্টের অভিযোগ, বোলের প্রতিপক্ষ মিডিয়া গ্রুপ তাদের বিরুদ্ধে এ ‘প্রচারনা’ চালাচ্ছে।
এক্সাক্ট প্রধান শোয়েইব শেখ ও সহকারী ওয়াকাস আতিককে বুধবার কিংবা বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।