চোখেও সমস্যা ছিল বিধ্বস্ত বিমানের কো-পাইলটের

জার্মানউইংসের বিধ্বস্ত বিমানের কো-পাইলট আন্দ্রিয়েজ লুবিৎজ চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন এবং তার দৃষ্টিশক্তি দিন দিন ক্ষীণ হয়ে আসছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2015, 03:31 PM
Updated : 29 March 2015, 03:31 PM

তবে লুবিৎজের এই দৃষ্টি সমস্যা শারীরিক কারণে নাকি মানসিক কারণে হয়েছিল তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তারা।

রোববার জার্মান পত্রিকা ‘বিল্ড’ এ খবর প্রকাশ করে। খবরে বলা হয়, রেটিনায় সমস্যা থাকার কারণে লুবিৎজের আশঙ্কা ছিল তিনি ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যান। তদন্ত কর্মকর্তারা এ সংক্রান্ত কিছু প্রমাণও খুঁজেপেয়েছেন।

খবরে আরও বলা হয়, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ক্যাপ্টেন বন্ধ ককপিটে ঢোকার জন্য প্রাণপন চেষ্টা করেছিলেন। উদ্ধার হওয়া ‘ব্ল্যাক বক্স’ রেকর্ডারে ক্যাপ্টেনকে “দরজা খোল! ঈশ্বরের দোহাই,দরজাটা খোল,” বলে চিৎকার করতে শোনা যায়।

এমন কি মরিয়া ক্যাপ্টেন এক পর্যায়ে কোন ধাতব বস্তু দিয়ে দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করছেন এমন আওয়াজও পাওয়া গেছে। ক্যাপ্টেনের চিৎকারের জবাবে কিছুই বলেননি লুবিৎজ। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ারকয়েক সেকেন্ড আগে যাত্রীদের আর্তচিৎকার শোনা যায়।

মঙ্গলবার জার্মানউইংসের বিমানটি ফ্রান্সের আল্পস পর্বতমালার ওপর বিধ্বস্ত হয় এবং ১৫০ জন আরোহীর সবাই মারা যায়। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে কো-পাইলট লুবিৎজইচ্ছা করে বিমানটি ধ্বংস করেছেন।

জার্মানির অন্য একটি পত্রিকা ‘ওয়েল্ট’ একজন জ্যেষ্ঠ তদন্ত কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, “২৭ বছর বয়সী লুবিৎজ বেশ কয়েকবার স্নায়ু বিশেষজ্ঞ ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়েছেন। ডুয়েসেলডর্ফশহরে তার অ্যাপার্টমেন্টে এসব রোগের অনেক ওষুধ পাওয়া গেছে।”

লুফথানসার মুখপাত্র জানান, লুবিৎজের অসুস্থতার ব্যাপারে তারা কিছুই জানতেন না।

ওদিকে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা বিভিন্ন গণমাধ্যমের এসব খবরের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারা জানান, সোমবারের আগে এ সংক্রান্ত কোন আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়া হবে না।