মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকানরাসহ কাস্ত্রো-বিরোধী আরো অনেকে এমনকি অনেক কিউবান বংশোদ্ভূত আমেরিকান কংগ্রেস সদস্যও ওবামার চেষ্টায় বাধ সাধতে একাট্টা হয়েছেন।
ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিও সিএনএন-এ অঙ্গীকার করে বলেছেন, কিউবায় যে কোনো মার্কিন রাষ্ট্রদূত মনোনয়নের চেষ্টা আটকে দেবেন তিনি।
আবার কাস্ত্রো-বিরোধী অনেক মার্কিন আইনপ্রণেতাও হুমকি দিয়ে বলেছেন, কিউবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কোনোরকম প্রচেষ্টায় প্রয়োজনীয় তহবিল জোগাড় হতে দেবে না কংগ্রেস।
১৯৬০ এর দশক থেকে কিউবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক স্থবির হয়ে আছে। কিউবাকে একঘরে করে রাখার সেকেলে নীতি ব্যর্থ হয়েছে এবং এখন ভিন্ন কিছু করার সময় এসেছে বলে ওবামা বুধবার তার ঘোষণায় নতুন নীতির যৌক্তিকতা তুলে ধরেছেন।
কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই এর ঘোর বিরোধিতা করেছেন কংগ্রেসের রিপাবলিকানরা।বিশেষ করে কিউবার ওপর থেকে ওবামার অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ মানতে রাজি নন তারা।
রিপাবলিকানরা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত ভিন্নমতাবলম্বী কিউবানরাও ওবামার উদ্যোগে নাখোশ। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ওবামার নতুন নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কিউবান-আমেরিকান নাগরিক এমনকি ওয়াশিংটনের নেতৃস্থানীয় কিউবান-আমেরিকান কংগ্রেস সদস্যদের মধ্যেও মতবিরোধ চোখে পড়ার মত।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিউবার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পক্ষে কিউবান-মার্কিনীরা। আর বিপক্ষে রয়েছে কিউবান-মার্কিনী কংগ্রেস সদস্যরা।
নিউ জার্সির ডেমোক্র্যাট সিনেটর রবার্ট মেনেন্দেজ এবং ফ্লোরিডার রিপাকলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও দুইজনই সিনেটের পররাষ্ট্রসম্পর্ক বিষয়ক কমিটিতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কিউবা নীতির তীব্র সমালোচনায় সবর হয়েছেন।
আরেক রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেছেন, কিউবায় দূতাবাস খোলাসহ নতুন পরিবর্তিত নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল কমানোর চেষ্টায় কংগ্রেসে আইন পাসের চেষ্টা নেবেন তিনি।
জানুয়ারিতে পররাষ্ট্রদপ্তরের তহবিল নির্ধারনী কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিতে চলেছেন গ্রাহাম। এক ট্যুইটে তিনি লেখেন, “কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করাটা এই খারাপ সময়ে একটি খারাপ ভাবনা”।