মিয়ানমারে সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনা

মিয়ানমারের সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসছেন দেশটির শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2014, 04:24 PM
Updated : 26 Nov 2014, 04:24 PM

মিয়ানমারে দীর্ঘ ৪৯ বছর সামরিক শাসন কায়েম ছিল। এ আমলে দেশটির খসড়া সংবিধান রচনা করা হয়। এ সংবিধানে বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বাধা রয়েছে।

মিয়ানমারের পার্লামেন্ট দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনার জন্য সর্বস্মতভাবে মত দিয়েছে।

দেশটির পার্লামেন্ট সদস্যদের মধ্যে সেনাবাহিনীর অনির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছে। সংবিধানে তাদের প্রচুর ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এই ক্ষমতা কমানো ছাড়াও সংবিধানের আরো বেশ কয়েকটি অনুচ্ছেদের সংশোধন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।

মিয়ানমারের প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সংসদে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধির ক্ষমতা কমানোর পক্ষে দেশব্যাপী সাক্ষরতা অভিযান চালিয়ে ৫০ লাখ স্বাক্ষর জোড়ার করেছে।

তদে পার্লামেন্টে এ ব্যাপারে আলোচনার প্রস্তাব অং সান সু চির দল এনএলডি’র পক্ষ থেকে আসেনি। বরং বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) এ প্রস্তাব দিয়েছে।

রয়টার্স জানায়, ইউএসডিপি’র আইনজীবী মাইন্ত তুন এ প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। তার প্রস্তাবে সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনার জন্য দেশটির শীর্ষ ছয় নেতার বৈঠকে বসার কথা বলা হয় এবং সর্বসম্মতিক্রমে এ প্রস্তাব পাশ হয়।

শীর্ষ ওই ছয় নেতা হলেন, সু চি, প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন, নিম্নকক্ষের স্পিকার শউই ম্যান, উচ্চকক্ষের স্পিকার খিন অং মেইন্ত, সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং লিং এবং সংখ্যালঘু উপজাতি জনগোষ্ঠীর দলগুলোর একজন সদস্য। বৈঠকের দিন এখনো নির্ধারিত হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও মিয়ানমারের সংবিধান সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছেন।
২০১১ সালে সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে বেসামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে দেশটির ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়। আগামী বছর মিয়ানমারে নির্বাচন হবে।