এর আগে বিশ্ব সংস্থাটি জানিয়েছিল এ প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে এই রোগটি মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও ওই দেশগুলোতেই রোগটির সংক্রমণ প্রতিরোধে তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
ডব্লিউএইচও হিসেব করে জানিয়েছে, ইবোলায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হয়েছে লাইবেরিয়ায়। সেখানে ৬,৫৩৫ জন মানুষ ইবোলায় সংক্রমিত হওয়ার বিষয়টি তালিকাভুক্ত হয়েছে।
এ ছাড়াও সিয়েরা লিওনে ৫,২৩৫ জন এবং গিনিতে ১,৯০৬ জন ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
তবে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে কতজন মৃত্যুবরণ করেছেন তার প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করতে কিছুটা সময় প্রয়োজন বলে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে।
তবে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক ব্রুস আইলওযার্দ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “সম্ভবত মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।”
এর আগে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৪৯২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছিল ডব্লিউএইচও।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ইবোলা আক্রান্ত অনেককেই আত্মীয়-স্বজনরা চিকিৎসা কেন্দ্রে না পাঠিয়ে বাড়িতে রেখে দিচ্ছে। অনেক চিকিৎসাকেন্দ্রে নতুন রোগীদের জায়গাও হচ্ছে না।
এখন পর্যন্ত আটটি দেশে ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সেনেগাল ও নাইজেরিয়াকে ইবোলা মুক্ত দেশ ঘোষণা করেছে ডব্লিউএইচও।
নিউ ইয়র্ক এবং নিউ জার্সির গভর্নররা পশ্চিম আফ্রিকা থেকে আসা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী যারা ইবোলা রোগীদের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন তাদের ২১ দিন নির্জনে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
আর যারা নিশ্চিতভাবে ইবোলা আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসেনি কিন্তু পশ্চিম আফ্রিকা থেকে এসেছে তাদের উপরেও স্বাস্থ্যকর্মীরা নজর রাখছেন।