দশ বছর আগের এক মামলার রায়ে ভারতের প্রধান বিচারপতি আর এম লোধা নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ বুধবার এই রায় ঘোষণা করে।
রায়ে বলা হয়, “এ ধরনের ব্যক্তিদের মন্ত্রী হওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করা সম্ভব নয়।… অভিযুক্ত বা বিচারাধীন কোনো ব্যাক্তিকে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় নিয়োগ দেবেন না এটাই প্রত্যাশিত। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীরাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।”
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নরেন্দ্র মোদীর বর্তমান বিজেপি সরকারে ১৪ জন মন্ত্রী রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা রয়েছে।
এর মধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রী উমা ভারতীর বিরুদ্ধে দুটি হত্যা ও ছয়টি দাঙ্গাসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। যোগাযোগমন্ত্রী নিতিন গাড়কারির বিরুদ্ধে মামলা আছে চারটি, যার মধ্যে একটি হুমকি ও ত্রাস সৃষ্টির মামলা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশাভাহার ও রাওসাহেব দাদারাও দানভির বিরুদ্ধেও রয়েছে চারটি করে মামলা। আরেক মন্ত্রী নিহালচাঁদ মেঘওয়ালকে সম্প্রতি রাজস্থানের একটি আদালত ধর্ষণ মামলায় তলব করে।
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিগত ইউপিএ সরকার থেকে ফৌজদারী মামলার আসামি লালু প্রসাদ যাদব, মোহাম্মদ তসলিমুদ্দিন, এমএমএ ফাতমি ও জয় প্রকাশ যাদবের অপসারণ চেয়ে ২০০৪ সালে এই মামলা হয়। মামলাটি প্রথমে খারিজ হয়ে গেলেও সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ জ্যেষ্ঠ বিচারপতি পরে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেন।
শুনানিতে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, একজন এমপি নির্বাচিত হলেই তিনি মন্ত্রী হতে পারেন, যদি প্রধানমন্ত্রী তাকে নিয়োগ দেন। সুতরাং এ বিষয়ে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিলে তা হবে ভঅরতের সংবিধান, পার্লামেন্ট ও জনগণের ইচ্ছার পরিপন্থি।
অন্যদিকে আদালতকে মতামত দিয়ে সহযোগিতার জন্য (অ্যামিকাস কিউরি) শুনানিতে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রাকেশ দিভেদী বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়েছে, তাদের কোনোভাবেই মন্ত্রী করা উচিৎ নয়।
ভারতীয় নির্বাচন কমিশনও এর আগে একাধিকবার এ ধরনের রাজনৈতিক নেতাদের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণার আহ্বান জানায়।