ডব্লিউএইচও’র প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসি’র খবরে বলা হয়, এবোলা ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, এর সঠিক হিসাব পেতে আরো চার মাস সময় লাগবে।
এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে গিনিতে ১০১ জন এবং পাশের দেশ লাইবেরিয়ায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পারস্পরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে ভাইরাসটির বিস্তার ঘটছে এবং আক্রান্তদের ২৫ থেকে ৯০ শতাংশই মারা যাচ্ছে।
পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি দেশে সীমান্ত পারাপর বেশ সহজ। সে কারণে এক দেশে থেকে আরেক দেশে লোকজনের যাতায়াতও হয় প্রায়ই।
গত মাসেই গিনিতে প্রথম এবোলা ভাইরাসে মৃত্যুর খবর শোনা যায়। দক্ষিণ গিনিতেই ভাইরাসটি বেশি ছড়িয়েছে।
এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক অবিষ্কার হয়নি বলেই শোনা যাচ্ছে। ভাইরাসটির কারণে শরীরের অভ্যন্তরে এবং বহিরাংশে রক্তক্ষরণজনিত কারণে রোগীর মৃত্যু হয়।
এছাড়া, মাংসপেশীতে ব্যাথা, শারিরীক দুর্বলতা, বমি ভাব, ডাইরিয়া ও জ্বরসহ বিভিন্ন রকম উপসর্গে ভোগে আক্রান্তরা।
গিনির পাশের দেশ লাইবেরিয়াতেও পাঁচ জন রোগীর শরীরে এবোলা ভাইরাস সনাক্ত করা হয়েছে বলে ডিব্লিউএইচও’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সৌদি আরবে হজ করতে যাওয়া গিনি ও লাইবেরিয়ার নাগরিকদের ভিসা বাতিল করা হয়।