ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আকবর হাশেমি রাফসানজানি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার দুদিন পর দেশের কর্তৃপক্ষের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছেন।
Published : 23 May 2013, 12:36 PM
ইরানের নেতাদেরকে অদক্ষ, অজ্ঞ বলে ভর্ৎসনা করেছেন তিনি।বিরোধী কালেম ওয়েবসাইটের খবরে একথা জানানো হয়েছে।
ইরানের নেতাদের কান্ডজ্ঞান নেই, তারা কি করছে নিজেরাই জানে না বলে মন্তব্য করেছেন রাফসানজানি।তাদের আক্রমণের কাছে নতি স্বীকার করতে চান না বলে সমর্র্থকদের সঙ্গে এক বৈঠকে জানান রাফসানজানি।
১৯৮৯ এবং ১৯৯৭ সালের মধ্যে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন রাফসানজানি।দেশটিতে ১৪ জুন অনুষ্ঠেয় নির্বাচনী প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তে একজন সংস্কারবাদী প্রার্থী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন তিনি।
নির্বাচনে তিনি সংস্কারপন্থি এবং মধ্যপন্থি রাজনীতিবিদদের সমর্থন পেতেন।কিন্তু মঙ্গলবার ইরানের ‘দ্য গার্ডিয়ান কাউন্সিল’ ৭৮ বছর বয়সী রাফসানজানিকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে।
এইকসঙ্গে অযোগ্য ঘোষিত হন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের মিত্র এসফান্দিয়ার রহিম মাসায়ি।
ইরানে যারা রক্ষণশীল ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে দেশে উদার সমাজ ও শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন তাদের কাছে রাফসানজানির এই বাদ পড়া হতাশাজনক।
তাছাড়া, রাফসানজানি বাদ যাওয়ায় ইরানের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভিন্ন প্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে।নির্বাচন বর্জনের চিন্তা-ভাবনা করতে পারে মধ্যপন্থিরা, বিশেষত, যারা রাফসানজানিকে তাদের প্রতিনিধি হিসাবে দেখতে চেয়েছিলেন।
আর নির্বচনে অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার পর রাফসানজানি যে সমালোচনামূলক মন্তব্য করেছেন তাতে নিশ্চিতভাবেই ইরানের ধর্মীয় শাসকগোষ্ঠী এবং বিরোধী গ্রুপগুলোর মধ্যে বিভক্তি বাড়বে।
যদিও কালেম ওয়েবসাইটে রাফসানজানি সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে উদ্দেশ্য করে সমালোচনা করেননি।
কিন্তু এর আগে ২০০৯ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে আহমাদিনেজাদের জয়ে ছড়িয়ে পড়া অস্থিরতার সময় তিনি কর্তৃপক্ষের কড়া সমালোচনা করেছিলেন এবং তখন থেকে দেশটির শাসকগোষ্ঠীর জন্য তিনি হুমকি বলেই গণ্য।