মিশরে শীর্ষ কৌঁসুলিকে হত্যার দায়ে ২৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

মিশরের শীর্ষ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর দেশটির শীর্ষ এক কৌঁসুলিকে হত্যার বিচারের রায়ে ২৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কায়রোর একটি অপরাধ আদালত।

>>রয়টার্স
Published : 22 July 2017, 02:39 PM
Updated : 22 July 2017, 03:08 PM

শনিবারের ওই রায়ে দোষী সাব্যস্ত আরো ১৫ জনের প্রত্যেককে ২৫ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

২০১৫ সালে রাজধানী কায়রোয় সরকারি কৌঁসুলি হিশাম বরকতের গাড়িবহরে গাড়িবোমা হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছিল।

ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য মুসলিম ব্রাদারহুড ও ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসকে দায়ী করেছিল মিশর। উভয় গোষ্ঠীই এই হত্যাকাণ্ডে তাদের কোনো ভূমিকা থাকার কথা অস্বীকার করে। 

জুনে দোষীদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের সুপারিশ করে দেশটির শীর্ষ ধর্মীয় নেতা গ্রান্ড মুফতির কাছে আর্জি পাঠায় আদালত। গ্রান্ড মুফতি ওই সুপারিশ অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান করার অধিকার রাখেন। আদালত মৃত্যুদণ্ড দেয়ার ক্ষেত্রে মুফতির পরামর্শ নিয়ে থাকে, তবে তার সিদ্ধান্ত মানার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

শনিবার আদালতের শুনানিতে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করে রায় দেওয়া হয়, তবে দণ্ডিতরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আসামীপক্ষের আইনজীবী আহমদ সাদ বলেছেন, “এই রায় অত্যন্ত বেদনাদায়ক। অন্যান্যদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, শহীদ হিশাম বরকতকে হত্যার ঘটনায় ‍যাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। ওই ঘটনায় তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতাই ছিল না।”

গত বছর মিশরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে বেশ কয়েকজন তরুণকে দোষ স্বীকার করতে এবং গাজায় গিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণের কথা স্বীকার করতে দেখা গিয়েছিল, কিন্তু পরে এদের কয়েকজন আদালতে অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।

নির্যাতন করে তাদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তারা এবং তাদের আইনজীবী নির্যাতনের বিষয়ে মেডিকেল পরীক্ষার দাবি জানিয়েছিলেন।

উত্তর সিনাইতে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নেতৃত্বাধীন একটি বিদ্রোহের মোকাবিলা করছে মিশর। ওই বিদ্রোহীরা কয়েকশত সৈন্য ও পুলিশকে হত্যা করেছে। কিন্তু সম্প্রতি ওই বিদ্রোহীরা সিনাইয়ের পাশাপাশি কায়রোসহ দেশটির অন্যান্য শহরেও প্রাণঘাতী হামলা শুরু করেছে।