ফিয়োঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার স্ত্রী কাজ না করেই কয়েক বছর ধরে বেতন নিয়েছেন। বিষয়টি অস্বীকার করে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই অভিযোগের বিরুদ্ধে লাড়াই চালিয়ে আসছেন ফিয়োঁ।
এবার তার বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে আদালত। এর বিরুদ্ধেও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
আনুষ্ঠানিক তদন্তের জন্য সমন জারি করে ১৫ মার্চের মধ্যে বিচারক সার্জ তুরনাইরের সামনে তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে বলে বুধবার এক সমাবেশে জানিয়েছেন ফিয়োঁ।
সমাবেশে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরুর কথা জানিয়ে সমর্থকদের এর ‘বিরোধিতা’ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ভোটাররাই কেবল আমার ভাগ্য নির্ধারণ করার ক্ষমতা রাখে।”
“এটি একটি রাজনৈতিক গুপ্তহত্যা। এটি শুধু আমাকে হত্যা করা নয়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকেও শেষ করা। লাখ লাখ ভোটারের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
রিপাবলিকান এই প্রার্থী বলেন, তিনি আদালতের সমনের প্রতি শ্রাদ্ধাশীল এবং বিচারকের সামনে সত্য কথা বলবেন।
“আমি ছেড়ে দেব না, আত্মসমর্পণ করব না এবং নিজেও সরে দাঁড়াব না।”
ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির মন্ত্রিসভার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ফিয়োঁ।
গত বছর ভোটাভুটির মাধ্যমে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন দৌঁড়ে তিনি সারকোজি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী অ্যালেন জুপ্পিকে পরাজিত করেন।
তবে সম্প্রতি ফিয়োঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘ভুয়া বেতন’ গ্রহণের অভিযোগ ওঠার পর জনমত জরিপগুলোতে পিছিয়ে পড়তে শুরু করেছেন তিনি।
ফিয়োঁর স্ত্রী পেনেলপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর ধরে পার্লামেন্টারি অ্যাসিস্টেন্স হিসেবে কাজ করার জন্য তিনি প্রায় আট লাখ ৩১ হাজার ইউরো বেতন নিয়েছেন। যদিও তার কাছে পার্লামেন্টারি পাসই না থাকার অভিযোগ রয়েছে।
স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পর শুরুতে ফিয়োঁ বলেছিলেন, যদি তার পরিবারের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয় তবে তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেবেন।
তবে এখন তিনি বলছেন, ‘জয়লাভ করার আগ পর্যন্ত’ লড়াই চালিয়ে যাবেন।