তুরস্কে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল রাশিয়া

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তুরস্কে প্যাকেজ ট্যুর ব্যবস্থাপনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2016, 04:01 AM
Updated : 1 July 2016, 04:06 AM

বিবিসি বলছে, গেল নভেম্বরে একটি রুশ যুদ্ধবিমানকে কয়েকটি তুর্কি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন পুতিন।

এই ঘটনায় তুরস্ক ক্ষমা না চাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছিল মস্কো। প্রতিক্রিয়ায় তুরস্কের উপর বাণিজ্যিক ও দেশটিতে প্যাকেজ ট্যুরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাশিয়া।

কিন্তু চলতি সপ্তায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ানের ক্ষমা প্রার্থনা করে পাঠানো একটি চিঠি ক্রেমলিন গ্রহণ করে। এর প্রতিক্রিয়ায় বুধবার পুতিন টেলিফোনে এরদোয়ানকে বলেছেন, তিনি তুরস্কে রুশদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

রাশিয়ায় একটি ডিক্রির মাধ্যমে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। তাতে প্রেসিডেন্ট তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা শুরুরও নির্দেশ দিয়েছেন।

পুতিন তুরস্কের ইস্তাম্বুলে  আতাতুর্ক বিমানবন্দরে মঙ্গলবার বন্দুক ও বোমা হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন। ওই হামলায় ৪২ জন নিহত হন।

বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর এই আতাতুর্ক বিমানবন্দর।

পুতিনের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে এরদোয়ান গেল নভেম্বরের রুশ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত পাইলটের পরিবারের প্রতি ‘সমবেদনা’ জানিয়েছেন।

রুশদের অনেকের কাছে তুরস্ক একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞার ফলে তুরস্কের পর্যটন শিল্প বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হয়।

২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর তুর্কি-সিরিয়া সীমান্তে রাশিয়ার একটি এসইউ-২৪ বোমারু বিমানকে কয়েকটি তুর্কি এফ-১৬ জঙ্গিবিমান গুলি করলে বিমানটি সিরিয়ার লাতাকিয়া প্রদেশের জাবাল তুর্কমেন এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এতে বোমারু বিমানটির পাইলট নিহত হন।

হেলিকপ্টার যোগে উদ্ধার অভিযানে আসা রুশ বাহিনী তুর্কি সমর্থিত সিরীয় বিদ্রোহীদের গুলির মুখে পড়লে একজন রুশ মেরিন সেনা নিহত হন।

বিধ্বস্ত বোমারু বিমানের নেভিগেটর ক্যাপ্টেন কনস্তান্তিন মুরাখতিন বেঁচে ছিলেন। সিরিয়ার সরকারি বাহিনী তাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী রুশ বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে যায়। 

তুরস্কের দাবি, সীমান্ত লঙ্ঘণ করার পর ১০ বার সতর্ক করা হলেও রুশ বোমারু বিমানটি সতর্কতার তোয়াক্কা করেনি।

 অপরদিকে রাশিয়া বলেছে, বোমারু বিমানটি সিরীয় সীমান্তের ভিতরেই অভিযানে অংশ নিচ্ছিল এবং গুলি করার আগে কোনো সতর্কতা জানানো হয়নি।

এ ঘটনাকে পুতিন ‘পেছন থেকে ছুরি মারা’র সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।