২০০৯ সালের নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে জুমার বিরুদ্ধে আনা ৭৮৩টি দুর্নীতির অভিযোগ খারিজ হয়ে যায়। যা তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ পরিষ্কার করে দেয়।
আদালতের বিচারক আউব্রেই লিডওয়াবা বলেছেন, জুমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ খারিজ করার যে সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলি নিয়েছিলেন, তা ছিল অযৌক্তিক।
জুমার বিরুদ্ধে কয়েক শ’ কোটি ডলারের অস্ত্র কেনাবেচা চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল।
বিচারক আউব্রেই লিডওয়াবা আরও বলেছেন, আদালত এও দেখেছে যে, সাবেক ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় প্রধান মোকোটেডি এমপিশে জুমার বিরুদ্ধে ৭৮৩টি অভিযোগ প্রত্যাহার করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা অবিবেচক ছিল।
তিনি বলেন, “চাপে পড়ে এমপিশে বিচার কাজ চালিয়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। নিজের উপর চাপের কারণে এমপিশে ওই সময় স্বাধীন, ভয়হীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার সে শপথ তিনি নিয়েছিলেন তা এড়িয়ে যান।”
“অভিযোগপত্রে যেসব কথা বলা হয়েছে জুমাকে অবশ্যই সেগুলো মোকাবেলা করতে হবে।”
বিরোধীদল ডেমক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স জুমার বিরুদ্ধে নতুন করে হাই কোর্টে মামলা করলে তার মামলা পুনরুজ্জীবিত করার এ সিদ্ধান্ত এল।
জুমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ১৯৯৯ সালে শ’শ’ কোটি ডলার অর্থমূল্যের একটি সরকারি অস্ত্র চুক্তিতে দুর্নীতি।
ডেমক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স নেতা এমমুসি মিমান বলেন, “আইনের শাসনের জন্য আজ একটি বিশাল বিজয়ের দিন। সবসময় আমাদের বিশ্বাস ছিল জ্যাকব জুমাকে একদিন বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। আজকের রায় আমাদের সেই বিশ্বাসের স্বীকৃতি দিয়েছে।”
“আমি আমার ওই সব সহকর্মীদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি যারা এই মামলার জন্য বিশেষভাবে কঠোর পরিশ্রম করেছে। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ।”
ওদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার পরিচালনা পর্ষদ আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের (এএনসি) পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার এখতিয়ার হাই কোর্টের নেই।
এএনসি’র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “‘বিলম্বিত বিচার বিচার না হওয়ার নামান্তর’- এই প্রবাদ বাক্যকে এএনসি সবসময়ই সমর্থন করেছে। এক দশক ধরে এ বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এএনসি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছে,েএটি এখন সমাধানের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।”
এর আগে গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ আদালত জুমার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা সরকারি অর্থ ফেরত না দেওয়ায় সংবিধান লঙ্ঘন হয়েছে বলে আদেশ জারি করে।