‘জিহাদি জন’ নামে পরিচিত ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেয়া ব্রিটিশ নাগরিক আরও তিন বিদেশি জঙ্গিসহ মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।
Published : 13 Nov 2015, 03:29 PM
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর রাক্কায় এই বিমান হামলা চালানো হয় বলে শুক্রবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে।
এই সংস্থাটি শুরু থেকেই সিরিয়ার যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা এরআগে বলেছিলেন, বিমান হামলায় একজন ব্রিটিশ নাগরিক নিহত হয়েছেন। সম্ভবত তিনি ‘জিহাদি জন’ নামে পরিচিত।
সিরিয়ান অবজারভেটরির পরিচালক রামি আবদুলরহমান বলেন, “রাক্কা শহরের গভর্নর ভবনের সামনে ইসলামিক স্টেটের চারজন বিদেশিকে বহনকারী একটি গাড়ি মার্কিন বিমান হামলার শিকার হয়। চারজন বিদেশি জঙ্গির একজন ব্রিটিশ জিহাদি।”
তিনি আরো বলেন, “ওখানকার সবসূত্রই বলছে, একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্রিটিশ জিহাদির লাশ রাক্কার হাসপাতালে রয়েছে। সবগুলো সূত্রই বলছে, এটি জিহাদি জনের লাশ। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে এটি নিশ্চিত করতে পারছি না।”
কুয়েতি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ জঙ্গি জিহাদি জনের প্রকৃত নাম মোহাম্মেদ ইমওয়াজি।
পেন্টাগনের বরাতে বিবিসি বলছে, সিরিয়ার রাক্কার কাছে এই কুখ্যাত জঙ্গিকে লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়।
ইমওয়াজিকে আইএসের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে পশ্চিমা বন্দিদের শিরশ্ছেদে হত্যা করতে দেখা গেছে। আর এরপরই তাকে ধরার জন্য বিশ্বব্যাপী অভিযান শুরু হয়।
পেন্টাগন জানিয়েছে, তারা এখনো বিমান হামলার ফলাফল মূল্যায়ন করছে। বৃহস্পতিবার বিমান হামলাটি পরিচালনা করা হয়।
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি পিটার কুক বলেন, এটি প্রাথমিক তথ্য।
২০১৪ সালের অগাস্টে একটি ভিডিও ফুটেজ অনলাইনে পোস্ট করা হয়। তাতে দেখা যায় ইমওয়াজি মার্কিন সাংবাদিক জেমস ফোলিকে শিরশ্ছেদে হত্যা করছেন।
এর মধ্য দিয়েই ইমওয়াজির ব্যাপারে বিশ্ববাসী প্রথম জানতে পারেন।
পরবর্তী সময়ে মার্কিন সাংবাদিক স্টিভেন সতলফ, ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী ডেভিড হাইনেস ও ট্যাক্সিচালখ অ্যালান হেনিং এবং মার্কিন ত্রাণকর্মী আবদুল রহমান কাসিগকে শিরশ্ছেদে হত্যার চিত্র ধারণ করা হয়। প্রত্যেকের হত্যাকারী এই ইমওয়াজি।
প্রতিটি ভিডিওতেই ইমওয়াজি মুখঢাকা কালো পোশাক পরে উপস্থিত হয়েছেন।