ব্যবসায়ের জন্য নির্মিত ওয়েবসাইটে ব্যাকডোর বা তথ্য চুরির উপায় রেখে গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করে তাদের ব্যাক্তিগত নানা তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে ওই প্রতারক, জানিয়েছে পুলিশ। পরবর্তীতে এই হাতিয়ে নেওয়া তথ্য দিয়ে অনলাইনে কেনাকাটা, জুয়া খেলার জন্য অ্যাকাউন্ট খোলাসহ ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে পুলিশ।
এই ঘটনার জন্য সন্দেহভাজন ব্যাক্তির কম্পিউটার থেকে ২০,০০০ এরও অধিক মানুষের পরিচয়পত্র খুঁজে পেয়েছে দেশটির পুলিশ, এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
২০১৬ সালের অক্টোবরে প্রথমবারের মতো তদন্তের ফলাফল প্রকাশে সময় এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, “তিনি বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট প্রস্তুতের কাজ করতেন যা অনলাইন কেনাকাটায় ব্যবহার করা হত।”
“সন্দেহ করা হচ্ছে যে তিনি একটি বিশেষ স্ক্রিপ্ট ইনস্টল করে ব্যবহারকারীর নাম ও পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিতে সক্ষম ছিলেন”-যোগ করেন তদন্তকারীরা।
৩৫ বছর বয়সী সন্দেহভাজন ওই ব্যাক্তিকে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে আটক করা হয় এবং এ নিয়ে তদন্ত এখনও চলছে।
পুলিশ ইতোমধ্যেই যাদের তথ্য সন্দেহভাজনের কম্পিউটারে পাওয়া গেছে তাদের ইমেইলের মাধ্যমে সতর্ক করে অনলাইন পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। তবে সব ব্যবহারকারীর তথ্যই ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা নির্ণয় করা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছে তারা।
এ ছাড়াও পুলিশ বিভাগ আরও সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছে সুবিধাবাদী স্ক্যামাররা পুলিশের ছদ্মবেশ ধারণ করেও ক্ষতিকর অ্যাটাচম্যান্ট পাঠাচ্ছে কিন্তু প্রকৃত ডাচ পুলিশের ইমেইলে এই ধরনের কোনো কিছু সংযুক্ত করা থাকে না।
“অপরিচিত প্রেরকের ইমেইল থেকে কখনোই কোন ফাইল ডাউনলোড করবেন না”-এমনটাই পরামর্শ পুলিশ বিভাগের।