বিবিসি জানিয়েছে, জিমেইল, ইয়াহু মেইল, হটমেইল এবং মেইল.আরইউ ওই হ্যাকার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান হোল্ড হ্যাকিংয়ের বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। তাদের বিশ্বাস অনেকগুলো ইউজারনেইম এবং পাসওয়ার্ডই আগে কোনোভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট আসলেই হ্যাক করা হয়েছে কিনা সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। হোল্ড-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের কাছে ২৭ কোটি ২০ লাখ ইমেইল অ্যাড্রেস এবং তাদের এনক্রিপশনহীন পাসওয়ার্ড রয়েছে। তার মধ্যে চার কোটি ২৫ লাখ আগে কখনো পাওয়া যায়নি।
প্রথমত এই তালিকার জন্য হোল্ড কর্তৃপক্ষের কাছে ৭৫ সেন্ট দাবী করলেও পরে সেটি বিনামূল্যেই দিয়ে দেয় হ্যাকার।
হোল্ড-এর প্রধান তথ্য সুরক্ষা কর্মী অ্যালেক্স হোল্ডেন বিবিসিকে বলেন, “এখানে অনেক হ্যাকার সাইট আছে যেগুলো জনপ্রিয় ‘ব্রুট ফোর্সিং’ সেবার বিজ্ঞাপন করে থাকে এবং বিপুল পরিমাণে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে এবং সেগুলো একের পর এক সাইটের বিপক্ষে ব্যবহার করছে।” এখানে ব্রুট ফোর্স হচ্ছে একটি এরর মেথড যা পাসওয়ার্ডের মতো কোনো এনক্রিপটেড ডেটা ডিক্রিপ্ট করতে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনে ব্যবহার করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে হ্যাকিংয়ে আক্রান্ত মেইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদেরও নিজেদের মতো করে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে গুগলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়, “আমরা এখনো তদন্ত করছি, তাই এই মুহুর্তে আমাদের কোন মন্তব্য নেই।”
মেইল.আরইউ-এর এক মুখপাত্র বলেন, “অনেকগুলো ইউজারনেইম ব্যবহার করে বারবার ভিন্ন ভিন্ন পাসওইয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।” তবে বিষয়টি নিয়ে আপাতত চিন্তা না করার পরামর্শই দিয়েছে হোল্ড কর্তৃপক্ষ।