শেষ মুহূর্তের গোলে জয় হাতছাড়া বাংলাদেশের

জয়োৎসবের প্রস্তুতি প্রায় নিয়েই ফেলেছিল বাংলাদেশের সমর্থকেরা। কিন্তু ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে সে উৎসব মাটি হয়ে গেল। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান প্রীতি ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে।

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়েরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 June 2015, 12:43 PM
Updated : 2 June 2015, 01:07 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বৃষ্টিভেজা মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দাপটের সঙ্গেই খেলে বাংলাদেশ। শুরুর দিকে জাহিদ হোসেন এমিলির গোলে স্বাগতিকরা জয়ের স্বপ্নই দেখছিল। যোগ করা সময়ে ইসমত শেনওয়ারি বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিয়ে দলকে সমতায় ফেরান।

২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের প্রস্তুতি হিসেবে এই প্রীতি ম্যাচে আফগানদের হারাতে না পারলেও দলটির বিপক্ষে অজেয় থাকল স্বাগতিকরা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা ৫ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় একটি; বাকি চার ম্যাচ হয়েছে ড্র।

মঙ্গলবার শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা মেলে বাংলাদেশ। ‍গোল পেতেও দেরি হয়নি স্বাগতিকদের। চতুর্থ মিনিটে মামুনুলের ফ্রি-কিকে এমিলি দারুণ হেডে দলকে এগিয়ে দেন।

শুরুর একাদশে থাকা ফরোয়ার্ড জুয়েল রানা প্রথমার্ধে দারুণ খেলেছেন। ডান প্রান্ত দিয়ে বেশ কয়েকটি আক্রমণ তৈরি করেন তিনি; কিন্তু এমিলি-এনামুলদের ব্যর্থতায় ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারেনি স্বাগতিকরা।

দ্বাদশ মিনিটে জুয়েলের ক্রসকে গোলে রূপ দেওয়ার জন্য আলতো একটা টোকার দরকার ছিল; কিন্তু বক্সের মধ্যে থাকা এমিলি-এনামুল ব্যর্থ হন। দুই মিনিট পর নাসিরের শট পোস্টের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।

২৯তম মিনিটে আফগানিস্তানের একটি আক্রমণ কর্নারের বিনিময়ে ফেরান ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান। এর পর পরই গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদের দৃঢ়তায় আরেক দফা বেঁচে যায় বাংলাদেশ।

৩৮তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর আরেকটি ‍সুযোগ হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের। এমিলি-মামুনুল বল দেওয়া-নেওয়া করতে করতে আক্রমণে যান। এরপর মামুনুলের বাড়িয়ে দেওয়া বল বক্সের মধ্যে পেলেও তালগোল পাকিয়ে ফেলেন হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস।

প্রথমার্ধে বারবার মেজাজ হারানো আফগানিস্তানের ফুটবলাররা দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোছানো ফুটবল খেলতে শুরু করে। কিন্তু স্বাগতিক ডিফেন্ডারদের দেয়াল টপকাতে পারেননি অতিথি দলের ফরোয়ার্ডরা।

৫৮তম মিনিটে আক্রমণে যাওয়া জুয়েল ফাউলের শিকার হলে ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক মামুনুলের বাঁকানো ফ্রি কিকে ইয়াসিনের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

৬৫তম মিনিটে মামুনুলকে তুলে নিয়ে শাহেদুল আলম শাহেদকে আর মাঝমাঠের শক্তি বাড়াতে জুয়েলের বদলে মোনায়েম খান রাজুকে নামান লোডভিক ডি ক্রুইফ। জুয়েল না থাকায় ডান দিক দিয়ে বাংলাদেশের আক্রমণের ধারটা কমে যায়।

শেষ দিকে মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ আর রক্ষণে মনোযোগী হওয়া বাংলাদেশ প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে। মানুনুলের অনুপস্থিতিতে জামাল ভূইয়া ও হেমন্ত আধিপত্য করতে না পারলেও মাঝ মাঠ মোটামুটি সামলে রাখেন।

সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে গোল করা ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন চৌধূরি নামেন দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ঠিকই সমতায় ফেরে আফগানিস্তান। ইসমত শেনওয়ারি বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শটে গোলরক্ষকে পরাস্ত করেন। বলের লাইনে ঝাঁপিয়ে পড়লেও শেনওয়ারির শট আটকাতে ব্যর্থ হন রাসেল।