এই জয়ে বার্সেলোনার সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান আবার ২-এ নামিয়ে আনল রিয়াল। ৩৪ ম্যাচে ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে মেসি-নেইমাররা, সমান ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে রিয়াল।
বুধবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে প্রথমার্ধে রিয়াল বল দখলে রাখলেও উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না তাদের আক্রমণভাগ। অবশেষে ৪৪তম মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন হামেস রদ্রিগেস।
টনি ক্রুসের বাড়ানো বল আলমেরিয়ার এক ডিফেন্ডার হেড করে ফিরিয়ে দিলেও আয়ত্তের ভেতরে তা পেয়ে যান রদ্রিগেস। ২৫ গজ দূর থেকে আচমকা বিদ্যুৎ গতির ভলিতে বল জালে জড়ান কলম্বিয়ার এই মিডফিল্ডার।
বিরতির পর আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান বাড়ে। ডি বক্সের ডান দিক থেকে রোনালদোকে লক্ষ্য করে বাড়ানো ক্রুসের আড়াআড়ি পাস ঠেকাতে গিয়ে নিজের জালেই জড়ান আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মাউরো দস সান্তোস।
৮৪তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করে জয়টা নিশ্চিত করেন আলভারো আরবেলোয়া। এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের গোলটিতে উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল হাভিয়ের এরনান্দেসের। বাঁ-দিক থেকে ছোট ডি বক্সের সামনে দারুণ ক্রস দিয়েছিলেন মেক্সিকোর এই স্ট্রাইকার।
২০০৮ সালের পর এই প্রথম লিগে গোল করলেন আরবেলোয়া।
গোলটি করার সময় আরবেলোয়ার ঠিক পেছনেই ছিলেন রোনালদো। সহজ গোলটি তারও হতে পারত, গোলটির পর জালে ঢুকে পড়ে বলে লাথি মারা পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ডের হতাশা তাই ভালোমতোই বোঝা যায়। সতীর্থদের সঙ্গে গোলটি তেমন উদযাপনও করেননি তিনি।
এবারের লিগে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩৯ গোল করলেও এই ম্যাচ দিয়ে তিন ম্যাচে গোলশূন্য থাকলেন তিনি। অন্যদিকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার মেসি ৩৮ গোল নিয়ে প্রায় ধরে ফেলেছেন পর্তুগালের এই তারকাকে। গোল না করতে পারার হতাশাটা তাই কয়েকবার ফুটে উঠতে দেখা যায় রোনালদোর ভাব-ভঙ্গিতে।