বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ইরানের বিপক্ষেও সেরাটা খেলে সাফল্য পাওয়ার আশা করছেন বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।
“এই দলটা নিয়ে আমি গর্বিত। গ্রুপে কোন অবস্থানে থাকব, সেটা নিয়ে আপাতত ভাবছি না। শুরু থেকেই বলে আসছি, আমরা লড়াই করতে চাই এবং প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ভালো ফুটবল খেলতে চাই। গত ম্যাচে ভারতের কাছে হারলেও মেয়েরা আমার প্রত্যাশা পূরণ করেছে। ইরানের বিপক্ষেও আমরা ভালো ফুটবল খেলে সাফল্য তুলে নিতে চাই।”
শক্তিশালী ভারতের কাছে হারার আগে জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
বাছাই পর্বে টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় শীর্ষে আছে ইরান, গোল পার্থক্যেও অনেক এগিয়ে তারা (+১৫)। তাই ‘বি’ গ্রুপ থেকে ২০১৫ সালে চীনের এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে ইরানের খেলার সম্ভাবনাই বেশি। বাংলাদেশের কাছে না হারলেই মূল পর্ব নিশ্চিত হয়ে যাবে ইরানের।
গোল পার্থক্যে ইরানকে পেছনে ফেলতে হলে তাদের বিপক্ষে ৫ গোলের ব্যবধানে জিততে হবে বাংলাদেশকে। তবে তা করতে পারলেও মনিকাদের তাকিয়ে থাকতে হবে ভারত-জর্ডান ম্যাচের ফলের দিকে। বৃহস্পতিবার একই মাঠে মুখোমুখি হবে ভারত ও জর্ডান।
বাংলাদেশ কোচ এত সব সমীকরণ নিয়ে এখন আর ভাবতে চান না। ইরানের বিপক্ষে কেবল নিজেদের সেরাটা কিভাবে খেলা যায়, সেটা নিয়েই দল ভাববে বলে জানান ছোটন।
“খেলতে নামলে প্রতিপক্ষের অতীত ইতিহাস কিংবা ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের অবস্থান ভুলে যায় আমাদের মেয়েরা। তারা শুধু নিজেদের খেলাটা নিয়েই ভাবে। ইরান শক্তিশালী দল। তবে তাদের শক্তি নিয়ে না ভেবে আমরা নিজেদের সেরা খেলার দিকেই বেশি নজর দিচ্ছি।”
পয়েন্ট সমান ছয় হলেও গোল পার্থক্যে বাংলাদেশের (+৬) চেয়ে এগিয়ে ভারত (+১২)। বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে জর্ডানের বিপক্ষে জয় পেলে মূল পর্বে খেলার সুযোগ থাকবে ভারতেরও। তবে ইরান বাংলাদেশের কাছে না হারলে ভারতের মূল পর্বের আশা ভেস্তে যাবে।