তাই তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা না জিততে পারলেও দেশের মানুষের মন যে মেসি-দি মারিয়ারা ঠিকই জয় করে নিয়েছে, তা নিশ্চিত হয়েই বলা যায়।
সোমবার মেসিদের বিমানবন্দরে অবতরণের মুহূর্তটি দেশটির কয়েকটি টিভি চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচারও করে। জাতীয় পতাকার আদলে প্লেনটির গায়ে সাদা ও নীল রং করা ছিল। আর তার মাঝে লেখা ছিল, ধন্যবাদ আজেন্টিনা।
বিমানবন্দরে জাতীয় দলকে স্বাগত জানাতে অসংখ্য মানুষ উপস্থিত হয়। তখন সবার উদ্দেশ্যে কোচ আলোহান্দ্রো সাবেইয়া বলেন, “(শিরোপা জিততে) আমাদের যা ছিল তার সবটুকু দিয়েছি আমরা।” রিও দে জেনেইরোর মারাকানার ফাইনালে জার্মানিকে ১১২ মিনিট পর্যন্ত আটকে রেখেও শেষরক্ষা করতে পারেনি মেসি-মাসচেরানোরা। মারিও গোটসের একমাত্র গোলে হেরে যায় লাতিন আমেরিকার দলটি।
তবে ওই হার দেশের মানুষের মনে কোনো বিরুপ প্রভাব ফেলেনি। প্রিয় তারকাদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে আসা ১৭ বছর বয়সী এক আর্জেন্টাইন বলেন, “আমরা দলকে সমর্থন দিতে এসেছি কারণ তারা আমাদের জন্য সবকিছু দিয়েছে। তাই আমাদের সমর্থন তাদের প্রাপ্য।”
বিমানবন্দর থেকে তিনটি বাসে করে পুরো দল আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার নিকটতম অফিসে পৌঁছায়। ওখানেই প্রেসিডেন্ট ক্রিস্তিনা কির্সনার সাবেইয়ার দলকে স্বাগত জানান।
প্রথমে বিমানবন্দরে সাধারণ মানুষের উষ্ণ ভালোবাসা আর পরে প্রেসিডেন্টের অভ্যর্থনা ক্ষণিকের জন্য হলেও হয়ত মেসির ভারাক্রান্ত মনে প্রলেপ দিতে পারলো।
প্রেসিডেন্টের দেয়া অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেসি বলেন, “এভাবে আমাদের স্বাগত জানানোয় আমি সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই। বিশ্বকাপ শিরোপাটা দেশে নিয়ে এসে আপনাদের সঙ্গে আমি সেটা উদযাপন করতে চেয়েছিলাম। সেজন্যে আমরা সবকিছু দিয়ে দিয়েছি কিন্তু শিরোপাটা জিততে পারেনি।”