বুয়েনস আইরেসে গত ২৩ মার্চ চিলির বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ১-০ গোলের জয়ের ম্যাচে সহকারী রেফারির সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের দায়ে মেসিকে চারটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে নিষিদ্ধ করে ফিফা।
এরপর ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাইয়ে মেসিকে ছাড়া বলিভিয়ার কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরে আর্জেন্টিনা পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে নেমে যায়। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে টেবিলের প্রথম চার দল সরাসরি রাশিয়ায় যাবে। পঞ্চম স্থানের দলকে বিশ্বকাপের টিকেট পেতে খেলতে হবে ওশিয়ানিয়া অঞ্চলের শীর্ষ দলটির সঙ্গে।
ফিফার দেওয়া নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে উরুগুয়ে, ভেনেজুয়েলা ও পেরুর বিপক্ষে খেলতে পারবেন না মেসি। ফিরবেন বাছাইয়ে দলের শেষ ম্যাচে একুয়েডরের বিপক্ষে। তবে জুরিখে শুনানির পর বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ডের আইনজীবী হুয়ান দে দিওস ক্রেসপো আর্জেন্টিনার ইএসপিএন রেডিওকে আশার কথা শোনান।
“আমি মনে করি, আমরা খুবই ভালো একটা কাজ করেছি। ফিফা আমাদের এ বিষয় নিয়ে খুব বেশি মন্তব্য না করতে মানা করেছে। ফিফা তাদের সিদ্ধান্ত জানালে আমি বিস্তারিত বলব।”
“তারা (ফিফা) এখন অবশ্যই কেসটা পর্যালোচনা করবে। আগামী সপ্তাহে ফিফার সিদ্ধান্ত ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। শুনানিতে আমাদের কাজটা ভালোভাবে হওয়াতে আমরা আশাবাদী।”
শুনানিতে ছিলেন না মেসি। শুনানির সময় বার্সেলোনায় থাকা মেসির সঙ্গে কোনো ভিডিও কনফারেন্স হয়েছে কিনা, সে বিষয়েও কথা বলতে রাজি হননি তার আইনজীবী।
“অপেক্ষা করুন কি হয় তা দেখার জন্য। আমরা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আবেদন করেছি। এটা সম্পূর্ণভাবে তুলে নেওয়া হবে বলে আমরা আশাবাদী।”