এবার বাংলাদেশে শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিজামের

খেলোয়াড়ী জীবনে ছিলেন লেফট ব্যাক, ক্যারিয়ারে সোনালী সময়ে খেলেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। মাঝে পেরিয়ে এসেছেন সুদীর্ঘ পথ; কিন্তু ২০০৩ সালের সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে টাইব্রেকারে হেরে যাওয়ার ক্ষতটা এখনও শুকায়নি মোহাম্মদ নিজামের। তরুণ শিষ্যদের নিয়ে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের শিরোপা জিতে সে ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিতে চান মালদ্বীপের সাবেক এই ডিফেন্ডার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকচট্টগ্রাম থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2017, 02:29 PM
Updated : 17 Feb 2017, 04:10 PM

শনিবার চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ঘরোয়া লিগের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ শুরু করবে নিজামের দল টিসি স্পোর্টস, বিকাল চারটায় শুরু হবে ম্যাচটি।

মালদ্বীপের ঘরোয়া লিগে গত দুইবার রানার্সআপ হওয়া টিসি স্পোর্টস বাংলাদেশে এসেছে তরুণ ফুটবলারে সাওয়ার হয়ে। দলে ১২ জনের বয়স ১৯ বছর! অবশ্য নাইজ হাসান, ইব্রাহিম ও ‍মুরতালা আদনানের জাতীয় দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। শহীদ প্রকৌশলী সামসুজ্জামান স্টেডিয়ামে শুক্রবার অনুশীলনে নামার আগে কোচ নিজাম জানালেন, তরুণদের নিয়ে বাজিমাতের লক্ষ্য তার।

“জানুয়ারিতে আমরা এই টুর্নামেন্ট সম্পর্কে জেনেছি। প্রস্তুতি ভালো। যখন আপনি কোনো টুর্নামেন্টে খেলবেন, তখন আপনার একটাই লক্ষ্য থাকবে সেটা জেতা। আমাদেরও একই লক্ষ্য।”

“এ নিয়ে আমরা তৃতীয়বারের মতো প্রিমিয়ার লিগে খেলছি। আমাদের দলটা খুব তরুণ। মাত্র পাঁচ বছর হলো আমাদের ক্লাবের বয়স। কিন্তু যখন আমরা লিগে রানার্সআপ হই, তখন কিন্তু কেউ ভাবেনি আমরা এটা হতে পারব।”

২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাগতিক বাংলাদেশের কাছে হেরে স্বপ্ন গুঁড়িয়েছিল মালদ্বীপের। সে স্মৃতি মনে রেখেই হয়ত, প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ আবাহনীসহ টুর্নামেন্টের বাকি ছয় দলকেই সমান সহীহ করছেন নিজাম।

“আমরা ফেভারিট নই। কিন্তু ফেভারিট হওয়ার চেয়ে বিস্ময় উপহার দেওয়ার লক্ষ্য আমাদের। সব প্রতিপক্ষই শক্তিশালী এবং কোচ হিসেবে আমি সেটাই ভাবি। যদি তাদের হালকাভাবে নেই তাহলে আমি সমস্যায় পড়ব।”

১২ বছর জাতীয় দলে খেলা নাজিম কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত প্রায় চৌদ্দ বছর ধরে। টিসি স্পোর্টসের হাল ধরে রেখেছেন চতুর্থ মৌসুমের মতো। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ নিয়ে লক্ষ্য জানানোর ফাঁকে ২০০৩ সালের বাংলাদেশে এসে খালি হাতে ফেরার স্মৃতিচারণও করলেন।

“যখন আমি খেলতাম তখন আমাদের দলটা শক্তিশালী ছিল। শেষবার আমরা বাংলাদেশের কাছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হেরেছিলাম। আমাদের দলটি (টিসি স্পোর্টস) এই প্রথম দেশের বাইরে কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলছে। আশা করি সাফল্য নিয়ে ফিরতে পারব আমরা।”