ম্যাচ শেষের বাঁশি: ১-১। লিগে ৬ পয়েন্টের ব্যবধান ধরে রাখলো জিদানের দল।
৯০. গোল: রামোস, রিয়াল মাদ্রিদ। ১-১। বাঁ-দিক থেকে লুকা মদ্রিচের ফ্রি-কিকে ঝাঁপিয়ে হেডে বল জালে জড়ান এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার।
৮৯. গোলমুখ থেকে রোনালদোর কোনাকুনি হেড জর্দি আলবার পায়ে লাগে।
৮৮. নেইমারকে তুলে নেন এনরিকে। মাঠে নামেন দেনিস সুয়ারেস।
৮৭. ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে রামোসের হেড ক্রসবারের একটু উপর দিয়ে চলে যায়
৮২: এবার গোলের সুবর্ণ সুযোগ হারালেন মেসি। ডি-বক্সে বল পেয়ে বাঁ পায়ে বল নিয়ে শট নিয়েছিলেন। তবে বল যায় দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে।
৮০: হলুদ কার্ড। কারভাহাল। নেইমারকে ফেলে দিয়ে হলুদ কার্ড দেখলেন কারভাহাল।
৭৭: অনুজ্জল বেনজেমাকে তুলে নিলেন জিদান। নামলেন মার্কো আসেনসিও।
৭৫: বল দখলের লড়াইয়ে ভারানেকে পেছন থেকে ধাক্কা মেরে হলুদ কার্ড দেখলেন সুয়ারেস।
৭১: নেইমারের জোরালো শট ঠেকিয়ে এবার রিয়ালকে বাঁচালেন ভারানে।
৬৮: সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট নেইমারের। ডি-বক্সে পায়ের জাদুতে একজনকে কাটিয়ে কাছ থেকে নেওয়া শটটা গেল ক্রসবারের একটু উপর দিয়ে। এমন গোল মিস বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না কোচ লুইস এনরিকে।
৬৬: ইসকোর বদলে কাসেমিরোকে নামালেন রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান।
৬০: রাকিতিচের বদলে নামলেন চোট থেকে সেরে ওঠা আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। মেসির কাছ থেকে অধিনায়কের বাহুবন্ধনী উঠল স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডারের হাতে।
৫৯: ডি-বক্সে বল পেয়েছিলেন বেনজেমা। কিন্তু বিপদ ঘটার আগেই বল কেড়ে বিপদমুক্ত করেন জর্দি আলবা। বেনজেমা একটু তৎপর হলেই সমতা ফেরাতে পারতেন।
৫১: ডি-বক্সে বুক দিয়ে বল নিয়ন্ত্রণ করে লক্ষভ্রষ্ট শট নিলেন রোনালদো।
৪৭: মেসি বাঁ দিকে ডি-বক্সে বল বাড়িয়েছিলেন সুয়ারেসকে। তবে উরুগুয়ের এই ফরোয়ার্ডের ক্রস প্রতিহত হয় কর্নারের বিনিময়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু:ম্যাচের এই স্কোর থাকলে আপত্তি থাকার কথা নয় রিয়ালের।
বিরতির বাঁশি: বার্সেলোনা ০-০ রিয়াল মাদ্রিদ। ক্লাসিকোর মতো খেলা হয়নি প্রথমার্ধে। রোনালদো গোল বরাবর শট নেন ৩টি, বার্সেলোনা ১টা।
৪০: জরদি আলবার শট কারভাহালের গায়ে লাগে। হ্যান্ডবলের দাবি শোনেননি রেফারি।
৩৮: এবার ডি-বক্সের ভেতর থেকে রোনালদোর শট ঠেকাতে বেগ পেতে হয়নি টের স্টেগেনের।
৩৭: বাঁ দিক থেকে বল নিয়ে এগিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শট নিয়েছিলেন রোনালদো। কর্নারের বিনিময়ে জোরালো শটটি ঠেকান মার্ক আন্ড্রে টের স্টেগেন।
২৮: হলুদ কার্ড, নেইমার, বার্সেলোনা। লুকাস ভাসকেসকে লাথি মেরে হলুদ কার্ড দেখলেন নেইমার। ওসাসুনার বিপক্ষে পরের ম্যাচে আর খেলতে পারবেন না ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড।
২২: লুকাস ভাসকসের ক্রসে ডি-বক্সের ভেতর থেকে করিম বেনজেমার ভলি প্রতিহত হয় বার্সেলোনার রক্ষণে।
২১: নেইমারের কাটব্যাকে অনেকটা ফাঁকায় থাকা সুয়ারেসের শট ঠেকিয়ে দেন রাফায়েল ভারানে।
১৪: হলুদ কার্ড। ইসকো। রিয়াল মাদ্রিদ। নেইমারকে ফেলে দিয়ে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন ইসকো।
১০: ডি-বক্সে বল নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন নেইমার। তবে কোনো বিপদ হয়নি। সের্হি রবের্তোর ভলি সের্হিও রামোসের বাহুতে লাগলে পেনাল্টির আবেদন জানিয়েছিল বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। রেফারি সাড়া দেননি।
# প্রথমবারের মতো রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে বার্সেলোনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন লিওনেল মেসি।
ম্যাচ শুরুর বাঁশি: বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় ফুটবল ম্যাচ শুরু কাম্প নউতে।
বার্সেলোনার এমএসএন ত্রয়ীর সবাই আছে। তবে রিয়ালের বিবিসির গ্যারেথ বেল নেই।
বার্সেলোনা একাদশ: টের স্টেগেন, রবের্তো, পিকে, মাসচেরানো, আলবা, রাকিতিচ, বুসকেতস, গোমেস, মেসি, সুয়ারেস, নেইমার।
রিয়াল মাদ্রিদ একাদশ: নাভাস, কারভাহাল, ভারানে, রামোস, মার্সেলো, মদ্রিচ, কোভাচিচ, ভাসকেস, ইসকো, রোনালদো, বেনজেমা।
মৌসুমের প্রথম ক্লাসিকোর আগে দুই দলের অবস্থান যেন দুই মেরুতে। টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজিত থেকে খেলতে নামছে রিয়াল। অন্যদিকে, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গত চার ম্যাচের তিনটিতেই হোঁচট খেয়েছে বার্সেলোনা।
লুইস এনরিকের দল লা লিগে টানা দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারানোয় লিগ টেবিলেও প্রভাব পড়েছে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ৬ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েছে তারা। ১৩ রাউন্ড শেষে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল, বার্সেলোনার পয়েন্ট ২৬।
এ বছরের শুরুতে জিনেদিন জিদান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অ্যাওয়ে ম্যাচে হারেনি রিয়াল। ২০১৬ সালের ফিফা বর্ষসেরা কোচের তিন জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা এই ফরাসির সামনে দারুণ এক রেকর্ডের হাতছানি। ১৯৬৫ সালে মিগেল মুনোসের পর প্রথম রিয়াল মাদ্রিদ কোচ হিসেবে বার্সেলোনার বিপক্ষে টানা দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচ জেতার সুযোগ জিদানের সামনে। তার অধীনে গত ২ এপ্রিল কাম্প নউয়ে ২-১ গোলে জিতেছিল রোনালদোরা।
বার্সেলোনার সামনেও আছে দারুণ এক মাইলফলক ছোঁয়ার সুযোগ। এই ম্যাচে জিতলে লা লিগায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৫০তম জয় হবে দলটির।
লিগে কাম্প নউয়ে ৮৬ ম্যাচে মাত্র ২০ বার জিতেছে মাদ্রিদের দলটি।
মেসি বনাম রোনালদো
ক্লাসিকোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা লিওনেল মেসি; ২১ গোল করেছেন তিনি। তবে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রিয়ালের বিপক্ষে শেষ পাঁচ ম্যাচ গোল পাননি তিনি। মাদ্রিদের ক্লাবটির বিপক্ষে তার টানা গোল না পাওয়ার রেকর্ড এটি।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ৩২ ম্যাচ খেলে সতীর্থদের ১৩টি গোলে সহায়তা করেছেন মেসি।
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ২৫টি ক্লাসিকো খেলে সাতটিতে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন। ক্লাসিকোয় এ পর্যন্ত তার করা ১৬ ক্লাসিকো গোলের ১০টিই এসেছে কাম্প নউয়ে।
বার্সেলোনার বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে রোনালদোর চেয়ে বেশি গোল শুধু করেছেন আলফ্রেদো দি স্তেফানো (১৮)।
# লা লিগায় প্রধান কোচ হিসেবে সপ্তমবারের মতো রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবেন এনরিকে। এর মধ্যে তিনটি করে ম্যাচ জিতেছেন ও হেরেছেন (বার্সেলোনার হয়ে ২টি করে জয় ও পরাজয় আর সেল্তা ভিগোর হয়ে ১টি করে জয় ও পরাজয়)।
# ২০০২ সালের নভেম্বরের পর থেকে কোনো ক্লাসিকো ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়নি।
# ক্লাসিকোয় ২-১ ফল বেশি দেখা যায়। ২৩২ ম্যাচে ৪৩ বার এই ফল হয়েছে।